দুর্নীতির মামলায় জামিন মিলেনি মেজর (অব.) সিনহা হত্যাকাণ্ডে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে আলোচিত টেকনাফের বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের।
গতকাল রোববার মহানগর স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে আসামি প্রদীপের জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দিয়েছেন বলে জানান দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহামুদুল হক।
গত ৬ জানুয়ারি মামলার ধার্য তারিখে আসামি প্রদীপের জামিন চেয়ে তার আইনজীবীদের করা আবেদন গতকাল রোববার শুনানির জন্য রাখা হয়েছিল।
দুদুকের মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক বলেন, এ দিন আদালত শুনানি শেষে আসামি প্রদীপের জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দিয়েছেন। এর পাশাপাশি আদালত আগামী ৮ মার্চ পরবর্তী ধার্য্য তারিখে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আদালতে জামিন শুনানিকালে আসামি প্রদীপ কুমার দাশ কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তাকে যথারীতি কড়া নিরাপত্তার মাধ্যমে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়েছিল।
গত ২৩ আগস্ট প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার সম্পদ ও ১৩ লাখ ১৩ হাজার ১৭৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে দুদক মামলা দায়ের করে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম আদালতে এ মামলায় প্রদীপকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশের পর থেকেই চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দি রয়েছে। এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় হাজিরা দিতে আসামি প্রদীপকে কঙবাজার কারাগার থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা হয়েছিল। এ সময় আসামি প্রদীপের জামিন চেয়ে আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করা হয়েছে। প্রদীপের স্ত্রী চুমকি কারণ দুদকের মামলা দায়েরের পর থেকে পলাতক রয়েছে বলে জানানো হয় দুদকের পক্ষ থেকে।
জানা গেছে, মামলা দায়েরের পর থেকে চতুর্থবারের মতো তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি দুদক। এর আগে ২০১৮ সালে দুদকের তদন্ত কমিটি প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি তদন্ত শুরু করে। ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল তাদের সম্পদের হিসাব জমা দিতে বলা হলেও চুমকি তা জমা দেন ২০১৯ সালের ১২ মে। প্রদীপ কুমার দাশ (৪৮) বোয়ালখালী উপজেলার সরোয়াতলী গ্রামের মৃত হরেন্দ লাল দাশের ছেলে। অন্যদিকে একই এলাকার বাসিন্দা তার স্ত্রী চুমকি কারণ (৪৫)।