মাত্র কিছু দিন হলো জিম্বাবুয়ে থেকে শিরোপা জিতে এসেছে বাংলা টাইগার্স। কিন্তু নিজেদের বহু দিনের পরিচিত আবুধাবি টি-টেন লিগে কেমন যেন বিবর্ন দলটি।
প্রথম দুই ম্যাচে হারের পর তৃতীয় ম্যাচে এসে জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নেমেছিল বাংলা টাইগার্স। শ্বাসরূদ্ধকার এক ম্যাচে শেষ পর্যন্ত এবারের আসরে প্রথম জয়টা তুলে নিল বাংলা টাইগার্স। দিল্লি বুলসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে প্রথম জয় তুলে নিল বাংলা টাইগার্স।
সাকিব এবং সানাকার ভুলে হাত থেকে ছিটকে যেতে বসেছিল টাইগার্স। কিন্তু একজন লিভিংস্টোন বুক চিতিয়ে লড়ে ম্যাচ জেতাল বাংলা টাইগার্সকে। দুর্দান্ত এবং স্বস্তির এক জয় পেল বাংলা টাইগার্স।
টসে হেরে ব্যাট করতে নামা দিল্লি বুলস শুরুতেই ধাক্কা খায়। ইনিংসের প্রথম বলেই এডাম পেইনের ধাক্কায় ফিরেন এডাম লিথ। পরের ওভারে আরেক ওপেনার টম বেনটনকে ফেরান জস লিটল। তৃতীয় উইকেটে জেমস ভিনস এবং রভম্যান পাওয়েল মিলে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। দুজন দিলে যোগ করেন ৩১ রান।
এ জুটি ভাঙ্গেন ইমরান খান। তিনি ফেরান ১৭ রান করা পাওয়েলকে। এরপর ভিন্স এবং নিখিল চৌধুরী মিলে টেনে নিয়ে যান দলকে। সাকিবের এক ওভার থেকে দুজন মিলে নেন ২৫ রান। আর সানাকা এক ওভারে দিয়েছেন ৩৩ রান। আর তাতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় দিল্লি বুলসের হাতে।
শুরু থেকেই চাপে থাকা বুলস শেষ পর্যন্ত ১২৩ রান সংগ্রহ করে। ভিন্স ১৫ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ২৭ এবং নিখিল ১৬ বলে ৭টি চার এবং ২টি ছক্কার সাহায্যে ৪৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। বাংলা টাইগার্সের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ডেভিড পেইন এবং জস লিটল।
জবাবে ব্যাট করতে নামা বাংলা টাইগার্স পারেনি প্রত্যাশিত শুরু করতে। ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ ফিরেন ৫ রান করে। দ্বিতীয় উইকেটে হজরতুল্লাহ জাজাই এবং দাসুন সানাকা মিলে যোগ করেন ৩৯ রান। ১৪ বলে ৩৩ রান করা সানাকাকে ফেরান শাদাব খান।
একটা ছক্কা মেরে ভাল কিছুর ইঙ্গিত দিলেও লিভিংস্টোন ফিরেন ৩ বলে ৭ রান করে একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করা জাজাই রান আউট হয়ে ফিরেন ২০ বলে ২৪ রান করে।
এরপর লিয়াম লিভিংস্টোন চেষ্টা করছিলেন দলকে টানার। শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাংলা টাইগার্সের দরকান পড়ে ১২ রানের। ফজল হক ফারুকীল করা শেষ ওভারের প্রথশ বলে ইফতেখার নেন এক রান। দ্বিতীয় বলে লিভিংস্টোন নেন ২ রান। তৃতীয় বলে এবার মারেন ছক্কা। শেষ দিন বলে দরকার তিন রান।
পরের বলটি ওয়াইড। চতুর্থ বলে দুই রান নিয়ে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতিয়ে তবেই ফিরলেণ লিভিংস্টোন। এই ব্যাটার অপরাজিত থাকেন ১৫ বলে ৫০ রান করে। মেরেছেন ৩টি চার এবং ৫টি ছক্কা।