আমানতকারীদের সুরক্ষা দিতে দুর্দশাগ্রস্ত পদ্মা ব্যাংক একীভূত হচ্ছে শরিয়ার ভিত্তিতে পারিচালিত এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে। গতকাল বৃহস্পতিবার এক্সিম ব্যাংকের পর্ষদ সভায় পদ্মা ব্যাংককে অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘আমাদের পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে একীভূত করার। আগামী সোমবার এ বিষয়ে পদ্মা ব্যাংকের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।’ খবর বিডিনিউজের।
গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে ওই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। কীভাবে এই একীভূতকরণ সম্পন্ন হবে, তা বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা মেনে দুই ব্যাংকের আইনজীবীরা ঠিক করবেন।
একীভূত বা মার্জার হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আরেকটি প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করা। অর্থাৎ, দুটি কোম্পানি মিলে একটিতে পরিণত হওয়া। সাধারণত সমজাতীয় দুই কোম্পানি ব্যবসায়িক স্বার্থকে সামনে রেখে একীভূত হয়। খেলাপি ঋণ এবং নানা কেলেঙ্কারিতে বছরের পর বছর ধরে দুর্দশার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এক ডজনের বেশি ব্যাংক। এসব ব্যাংক এখন দেশের পুরো ব্যাংক খাতের জন্য সমস্যা হয়ে ওঠায় একীভূতকরণ বা মার্জারের বিষয়টি আর্থিক খাতের সংস্কারের আলোচনায় অগ্রাধিকার পাচ্ছে।
পদ্মা ব্যাংকের সূচনা হয়েছিল ফারমার্স ব্যাংক নামে। সরকার ২০১৩ সালে একসঙ্গে যে নয়টি ব্যাংকের অনুমোদন দেয়, তার মধ্যে ফারমার্স ব্যাংক একটি। যাত্রার তিন বছর পার করেই ধুঁকতে শুরু করে ব্যাংকটি। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ফারমার্স ব্যাংকের নাম বদলে করা হয় পদ্মা ব্যাংক।
ফারমার্স ব্যাংক থেকে পদ্মা ব্যাংক হওয়ার সময় খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল তিন হাজার ৭০ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের শেষে ব্যাংকটির ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণই ৩ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের প্রায় ৬৪ শতাংশ।