দুর্ঘটনায় আহত নিহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদান শুরু

সংবাদ সম্মেলনে বিএম ডিপো কর্তৃপক্ষ

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৮ জুলাই, ২০২২ at ৭:১২ পূর্বাহ্ণ

বিএম কন্টেনার ডিপো কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে দাবি করেছেন যে, দুর্ঘটনায় আহত এবং নিহতদের ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদান শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫ কোটি টাকারও বেশি অর্থ ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়েছে। শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন বোনাসের অর্থ বাড়িতে এবং ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করা হয় যে, কোনো ধরনের অনিয়ম এই ডিপোতে ছিল না। সরকারের আইসিডি নীতিমালা অনুযায়ী সরকারি ২৫টি সংস্থার সবকটির হালনাগাদ লাইসেন্স ও ছাড়পত্র রয়েছে বিএম ডিপোর। অগ্নিকাণ্ডে এই ডিপোর হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গতকাল বিকেলে নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সাথে বিএম ডিপো কর্তৃপক্ষের মতবিনিময়কালে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন স্মার্ট গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মেজর (অব.) শামসুল হায়দার সিদ্দিকী। এ সময় বিএম ডিপোর মহাব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন (অব.) মাইনুল আহসান খানসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দুর্ঘটনার পর প্রতিশ্রুত অর্থ সহায়তা প্রদান শুরু করেছে বিএম ডিপো কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে সবমিলিয়ে নিহত ২৬ জন ও আহত ৪৩ জনের পরিবারকে মোট ৫ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে। নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা, অঙ্গ হারানো আহতদের ৬ লক্ষ টাকা এবং সাধারণ আহতদের ৪ লক্ষ টাকা, ফায়ার সার্ভিসের নিহত সদস্যদের প্রত্যেক পরিবারকে ১৫ লক্ষ টাকা, অঙ্গ হারানো আহতদের ১০ লক্ষ টাকা এবং সাধারণ আহতদের ৭ লক্ষ টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় শনাক্ত হয়নি এবং
যেগুলোতে আইনি জটিলতা রয়েছে, তাদেরকেও পরবর্তীতে ক্ষতিপূরণ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি নিহত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবারে কোনো উপার্জনক্ষম ব্যক্তি থাকলেও তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরির ব্যবস্থা করা, যাদের পরিবারে উপার্জনক্ষম ব্যক্তি নেই এবং নিহতদের ছোট সন্তান রয়েছে, তারা উপার্জনক্ষম না হওয়া পর্যন্ত নিহত কর্মীদের মাসিক বেতন চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে অনেকে চাকরির জন্য সিভি জমা দিয়েছেন বলেও সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়। দুর্ঘটনার পর ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬শ কর্মকর্তা কর্মচারীর মে ও জুন মাসের বেতন এবং কোরবানির ঈদের বোনাস পরিশোধ করা হয়েছে। নিহত-আহত প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাড়িতে এবং বাসায় গিয়ে বেতন-ভাতা ও বোনাসের টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলেও লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়। ইতোমধ্যে ডিপোতে অক্ষত থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মূল্যবান আমদানি-রপ্তানি পণ্য খালাসের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধডা. মিজানের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে আক্রান্ত আরও ৫৩