কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড়ের ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেতে অন্যদের মতো অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ জয়নাব বেগমও (২০) শনিবার রাত ৯ টার দিকে পেকুয়ায় রাজাখালী এয়ার আলী খান আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠেন। কিন্তু ঘণ্টা চারেক পর তার প্রসব বেদনা শুরু হলে স্বজনেরা তাকে নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে যেতে অনেক চেষ্টার পরও একট গাড়ি যোগাড় করতে পারেননি। পরে খবর পেয়ে পেকুয়া থানার ওসি মো. ওমর হায়দার রাত দেড়টা দিকে থানার গাড়িতে করে ওই নারীকে নিয়ে যান পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে গতকাল রবিবার ভোরে ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন গৃহবধূ জয়নাব বেগম। বর্তমানে মা ও সদ্যজাত সন্তান সুস্থ রয়েছে। গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ি পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের বামুলাপাড়ায়। তিনি ওই এলাকার মো. আরকানের স্ত্রী।
পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘আজ রবিবার (গতকাল) ভোর সাড়ে চারটার দিকে গৃহবধূ জয়নাব বেগম স্বাভাবিকভাবে পুত্র সন্তান জন্ম দেন। বর্তমানে মা ও সন্তান সুস্থ রয়েছে।’ জানা গেছে, সদ্যোজাত পুত্র সন্তানটির নাম রাখা হয়েছে ‘মোখা’।
পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ওমর হায়দার দৈনিক আজাদীকে বলেন, উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে পেকুয়া থানা পুলিশ। রাত দেড়টার কিছু আগে খবর পাই সন্তান সম্ভবা এক নারী রাজাখালী এয়ার আলী খান আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে প্রসববেদনায় কাতরাচ্ছেন। দুর্যোগের রাতে গাড়ি পাওয়া যাবে না বুঝতে পেরে থানার গাড়ি নিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরদিন ভোর সাড়ে চারটার দিকে ওই নারী পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। ওসি বলেন, দুর্যোগের রাতে ওই নারীর পাশে থাকতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।