দুমাস ধরে নেই স্টিমার, স্পিডবোট স্বল্পতায় যাত্রী বিড়ম্বনা

কুমিরা-গুপ্তছড়া নৌপথ

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৬ জানুয়ারি, ২০২২ at ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ

দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপ থেকে চট্টগ্রামে যোগাযোগের অন্যতম নৌপথ কুমিরা-গুপ্তছড়া। সন্দ্বীপের নৌযাত্রীদের প্রায় ৯৫ ভাগ এ কুমিরা-গুপ্তছড়া নৌরুট দিয়েই যাতায়াত করে। উভয় পাশে বিআইডব্লিওটিএর জেটি সুবিধা থাকায় এবং অন্যান্য ঘাটগুলোর ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় সন্দ্বীপে যাতায়াতের ক্ষেত্রে যাত্রীদের একমাত্র ভরসা এ কুমিরা-গুপ্তছড়া নৌরুটই।
কিন্তু শতকোটি টাকার বিআইডব্লিওটিএর জেটি ও স্টিমার পেয়েও কমেনি যাত্রী দুর্ভোগ। উভয় ঘাটে যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ টিকেটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। একদিকে বিগত দুমাস ধরে নেই বিআইডব্লিওটিএর জাহাজ এমভি আইভি রহমান, অন্যদিকে স্পিডবোটসহ নৌযানের স্বল্পতার কারণে সন্দ্বীপ যাতায়াতের ক্ষেত্রে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে যাত্রীরা। স্টিমার না থাকায় সামান্য বাতাস আর কুয়াশার কারণে স্পিডবোট ক্ষণে ক্ষণে বন্ধ করে দেয়ায় ঘাটে বিড়ম্বনার শিকার হন প্রতিদিন ৩ হাজার যাত্রী।
ঘাটে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে সন্দ্বীপের সোস্যাল এক্টিভিস্ট খাদেমুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, নতুন জেটি আর নতুন শিপ নিয়ে আমরা যতটা আশাবাদী ছিলাম বাস্তবে আমাদের কষ্ট আগের মতই রয়ে গেছে। যাত্রীর তুলনায় স্পিডবোট কম থাকায় দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট কাটতে হয় আমাদের। স্টিমার এমভি আইভি রহমান দীর্ঘদিন না থাকার কারণ উল্লেখ করে বিআইডব্লিওটিএর কমিশন এজেন্ট ইকরামুল হক ফরহাদ বলেন, জাহাজের পাখা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মেরামতের জন্য ডকইয়ার্ডে নেয়া হয়েছিল। আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে জাহাজ আবারো যাত্রী পারাপার করতে পারবে বলে আশা করি।
এদিকে নৌযান স্বল্পতা নিয়ে স্পিডবোটের পরিচালক জেলা পরিষদের ইজারাদার আনোয়ার হোসেন চেয়ারম্যান ও মো. নয়নকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধছেলের কোলে চড়ে ভোটকেন্দ্রে বৃদ্ধা রাবেয়া
পরবর্তী নিবন্ধবন্ধুকে বন্ধক রেখে ইয়াবা পাচার, ৫ দিন পর উদ্ধার