ভাগ্য বদলের আশায় প্রবাসে যাওয়ার এক মাস না পেরোতেই ঘুমের মধ্যে মারা যাওয়া চকরিয়ার বরইতলী ইউনিয়নের মধ্যম বানিয়ারছড়ার শওকত আকবরের (১৮) মরদেহ অবশেষে দেশে এসেছে। দুবাইয়ে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মৃত্যুর সাতদিন পর গতকাল মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার মরদেহবাহী কফিনটি পৌঁছায়। মারা যাওয়া শওকত মধ্যম বানিয়ার ছড়ার ইজিবাইক চালক বৃদ্ধ মনজুর আলমের পুত্র।
দুবাইয়ে অবস্থানরত চকরিয়া প্রবাসী ফোরামের সভাপতি ইসহাক হুমায়ুন আজাদীকে জানান, শওকত আকবরের পরিবারটি আর্থিকভাবে খুবই দুর্বল। তাই শওকতের লাশ দুবাই থেকে বাড়ি পৌঁছানো পর্যন্ত যাবতীয় খরচ বহন করেন দুবাইয়ে অবস্থানরত প্রবাসীরা। এতে শেষবারের মতো তাকে এক পলক দেখা ও নিজ গ্রামে দাফন–কাফনের সুযোগ পায় পরিবারটি। এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পেরে প্রবাসী ফোরামের সদস্যরাও তৃপ্ত।
স্থানীয় বাসিন্দা আনিসুল ইসলাম ফারুকী জানান, শওকতের লাশ দেশে আনার যাবতীয় প্রক্রিয়া ও খরচ বহন করেন সভাপতি ইসহাক হুমায়ুনের নেতৃত্বে চকরিয়া প্রবাসী ফোরামের সদস্যরা। অপরদিকে লাশ দেশে আনার পরও যাতে সবকিছু স্বাভাবিকভাবে সম্পন্ন করা যায় সেজন্য সার্বিক সহায়তা দিয়েছে বরইতলী প্রবাসী সমিতি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হাসান মোহাম্মদ রিয়াদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির উদ্দীন, সদস্য মাওলানা ইসাসহ সমিতির নেতারা গত একসপ্তাহ ধরে কষ্ট করে যাচ্ছেন শওকতের লাশ দেশে আনার জন্য।
পরিবার সূত্র জানায়, লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছার পর মধ্য বানিয়ারছড়া মসজিদ ময়দানে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে। এদিকে ছেলের লাশ দেশে আনাসহ সার্বিক সহায়তা করায় সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বাবা মনজুর আলম।
প্রসঙ্গত, গত ৯ জানুয়ারি ভোরে পরিবার সদস্যরা দুবাই থেকে ফোনে খবর পায় শওকত আকবর ঘুমের মধ্যেই মারা গেছেন। এরপর পরিবারসহ পুরো এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।