দারুল উলূম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলন গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা মুফতি খলীল আহমদ কাসেমী বলেছেন, জীবনের বাঁকে বাঁকে মানুষ ইচ্ছায়–অনিচ্ছায় নানা রকমের গুণাহে জড়িয়ে পড়ে। এর মূল কারণ হিসেবে হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) একটি বিষয়কে চিহ্নিত করেছেন। তিনি ইরশাদ করেছেন, দুনিয়ার মোহই সকল গুণাহের মূল। সুতরাং দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করে পরকালমুখী হতে পারলে সহজেই আল্লাহর নাফরমানি থেকে মুক্ত থাকা যায়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর নাফরমানি করে না, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলা তাকে ভালোবাসেন।
আল্লামা মুফতি খলীল আহমদ কাসেমী বলেন, আমরা যা কিছু নিজেদের বলে দাবি করছি, অর্থাৎ বাড়ি, ঘর, আসবাবপত্র ও বেশভূষা, কিছুই আমাদের সাথে যাবে না। সবকিছুই ক্ষণস্থায়ী। আমাদের সাথে যাবে ইবাদত ও উত্তম আমলসমূহ। সেই সাথে যাবে আমাদের দান–সদকাহ। আপনারা দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার মতো দ্বীনি মাদরাসাসমূহে যে সাহায্য–সহযোগিতা ও দান–সদকা করছেন এগুলোর সওয়াব পরকালে যাবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, আল্লাহর সবচেয়ে বড় নিয়ামত হচ্ছে তিনি আখেরী নবীর উম্মত হিসেবে আমাদেরকে কুরআন দিয়েছেন। তারপরের নিয়ামত হচ্ছে, আমাদের কেউ এই জগতে ছিলাম না; তিনি আমাদেরকে এই জগতে সর্বশ্রেষ্ঠ মাখলুকাত করে পাঠিয়েছেন। আর আমরা সর্বশ্রেষ্ঠ মাখলুক তখনই হতে পারব, যখন আমরা আল্লাহর প্রথম নিয়মত কুরআনকে আঁকড়ে রাখতে পারব এবং কুরআনের রঙে নিজেদেরকে সাজাতে পারব।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আল্লামা শেখ আহমদ, আল্লামা মুফতি আহমাদুল্লাহ, আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, আল্লামা সাজেদুর রহমান, আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন, মাওলানা আবদুল বাসেত খান সিরাজী, মাওলানা সালাহ উদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা হাবীবুর রহমান কাসেমী, মাওলানা লোকমান হাকিম, মাওলানা ওসমান ফয়জী, মুফতি কিফায়াতুল্লাহ, মাওলানা আজিজুল হক আল মাদানী, ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, মাওলানা মুশতাকুন্নবী কাসেমী, মাওলানা ফুরকানুল্লাহ, মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেহপুরী, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, মাওলানা খোবাইব, মাওলানা কিফায়াতুল্লাহ আজহারী, মাওলানা বদরুল আলম হামিদী প্রমুখ।