গোখাদ্য ও ওষুধের দামের পাশাপাশি শ্রমিকের মজুরি, বিদ্যুতের রেট বেড়ে যাওয়াও গরু খামারে ব্যয় বাড়ার অযুহাত দেখিয়ে দুধের দাম বাড়াতে আন্দোলনে যাচ্ছে চট্টগ্রামের ডেইরি খামারিরা। গতকাল শুক্রবার বিকেলে নগরীর বহদ্দারহাট সংলগ্ন একে কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত সভায় আগামী ১ নভেম্বর থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীর মিষ্টির দোকানগুলোতে প্রতি লিটার ৬০টাকা করে দুধ নেওয়ার দাবি জানানো হয়। অন্যথায় চট্টগ্রাম মহানগরীর মিষ্টি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে দুধ সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে ডেইরি ফার্ম এসোসিয়েশনের চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি নাজিম উদ্দিন হায়দারের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক বাবুল, সহ-সভাপতি মো. হারুন চৌধুরী, এম এ ওয়াহিদ জিয়া, আবু ইউসুফ, মোহাম্মদ শাহজাহান, জালাল উদ্দিন, মোহাম্মদ এয়াকুব, কফিল উদ্দিন, কর্ণফুলী উপজেলা ডেইরি এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ ফোরকান, পটিয়ার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাসেল, আনোয়ারার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান, বাঁশখালীর ফরহাদুল ইসলাম, রাঙ্গুনিয়ার সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল প্রমুখ।
সভায় বাংলাদেশে ডেইরি ফার্ম এসোসিয়েশনের চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি নাজিম উদ্দিন হায়দার বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীতে যেসব মিষ্টি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাদের আগামী ১ নভেম্বর থেকে প্রতি লিটার দুধ ৬০ টাকা করে দিতে হবে। অন্যথায় মিষ্টি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে দুধ সরবরাহ একেবারে বন্ধ করে দেবে খামারিরা। চট্টগ্রাম জেলার প্রত্যেক উপজেলার ডেইরি ফার্ম সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে আমরা শুক্রবার বৈঠক করেছি। বৈঠক থেকে আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। দুধের দাম ৬০ টাকা করা না হলে দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে কোন দুধ নগরীতে ঢুকবে না। প্রত্যেক উপজেলায় আমরা পাহারা বসাবো। যাতে মিষ্টির দোকানগুলো দুধ নিতে না পারেন।
তিনি বলেন, ডেইরি এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বিগত পাঁচ বছর ধরে দুধের দাম বাড়ানো হয়নি। ৫ বছর ধরে প্রতিলিটার ৫৩ টাকা করে বিক্রি করছে খামারিরা। এই পাঁচ বছরে গরু খাদ্যের দাম বেড়েছে, ওষুধের দাম বেড়েছে, খামারের শ্রমিকদের বেতন বেড়েছে, বিদ্যুতের দাম বেড়েছে, কিন্তু দুধের দাম বাড়েনি। তাছাড়া করোনাকালে প্রত্যেক খামারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগে যাদের ১০০ গরু ছিল, এখন আছে ৩০টি গরু। করোনার মধ্যে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো খামারিদের পাশে দাঁড়াননি। চট্টগ্রাম জেলা ডেইরি ফার্ম এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক বলেন, গত পাঁচ বছরে দুধের দাম না বাড়লেও ১৬০ টাকার মিষ্টি ২৪০ টাকা করেছেন মিষ্টি প্রস্তুতকারীরা। প্রত্যেক কোম্পানি মিষ্টি দাম বাড়িয়েছেন। কিন্তু তারা দুধের দাম বাড়তি দেননি।