রাতে একটু একটু শীত, সাথে মৃদু কুয়াশা। সকালেও কুয়াশা। কয়েক দিন ধরে কার্তিক মাসের চিত্র ছিল এমন। কিন্তু গত দুদিন ধরে আবহাওয়া হঠাৎ পাল্টে গেছে। ভাদ্র মাসের মতো তীব্র ভ্যাপসা গরম। গরমের সাথে বেড়েছে লোডশেডিংও।
চট্টগ্রামে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন। দীর্ঘ দিন ধরে নগরবাসী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে ভুগলেও গত কয়েক দিন এর মাত্রা আরো বেড়ে গেছে। গত সোমবার ও গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামে মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং ছিল। শিল্প-কারখানায়ও উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। শহরের চেয়ে গ্রামে লোডশেডিং অনেক বেশি বলে জানা গেছে। দিনে-রাতে একাধিকবার টানা এক ঘণ্টার অধিক লোডশেডিং করা হচ্ছে।
পিডিবি জানায়, বিদ্যুতের বরাদ্দ-স্বল্পতায় লোডশেডিংয়ের শিডিউল ঠিক রাখা যাচ্ছে না। গড়ে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩৫০ মেগাওয়াটের লোডশেডিং করা হচ্ছে। চট্টগ্রামে গড়ে এখন দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে গড়ে ৬০০ থেকে ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। অর্ধেকের চেয়ে কম বিদ্যুৎ নিয়ে কোনো রকমে জোড়াতালি দিয়ে চলছে।
পিডিবির সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানান, চাহিদা মোতাবেক বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। আবাসিক ও শিল্প কারখানায় লোডশেডিং করা হচ্ছে। এখন আমাদের করার কিছু নেই। মালিকদের রেশনিং করে কারখানা চালাতে বলেছি। বিদ্যুৎ উৎপাদন ঠিক না থাকায় লোডশেডিংয়ের সিডিউলও ঠিক রাখা যাচ্ছে না।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত কয়েক দিন যাবৎ লোডশেডিং অনেক বেড়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি লোডশেডিং হয়েছে গত সোমবার ও মঙ্গলবার।
মোমিন রোড ঝাউতলা এলাকার বাসিন্দা জাহেদুল হক জানান, সোমবার ও গতকাল সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় একটানা দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। বিদ্যুৎ আসার ২০ মিনিট পর আবার চলে গেছে।
এদিকে শহরের চেয়ে গ্রামে আরো ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। খুব কম সময় বিদ্যুৎ পাচ্ছে মানুষ। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা ব্যাহত হচ্ছে।