দুদিনে পেঁয়াজ কেজিতে বেড়েছে ৮ টাকা

ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের গুজব

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১২ মার্চ, ২০২৩ at ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হতে পারেএমন গুজবে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। রমজানের আগে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণে ভোক্তাদের কপালে ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে।

খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি অনুমতি (আইপি) যা ইস্যু করা হয়েছে, আমরা শুনেছি সেগুলো আগামী ১৫ মার্চ শেষ হয়ে যাবে। এরপর নতুন করে সরকার আইপি ইস্যু করবে কিনা এটি নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক ধরনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর ফলে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। গতকাল চাক্তাইখাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দুদিনের ব্যবধানে ভারতীয় নাসিক পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৮ টাকা বেড়ে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৩৩৫ টাকায়। এছাড়া ভারতীয় বেলডাঙা জাতের পেঁয়াজ ২২২৪ টাকা এবং খাসখালী জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৭২৮ টাকায়।

জানা গেছে, বর্তমানে দেশে তাহেরপুরী, বারি(তাহেরপুরী), বারি(রবি মৌসুম), বারি(খরিপ মৌসুম), স্থানীয় জাত ও ফরিদপুরী পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। ফলে বছরজুড়ে কোনো না কোনো জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। আর আমদানি করা হয় বাকি চার লাখ টন। মূলত এই আমদানিকৃত চার লাখ টন পেঁয়াজ বাজারের ওপর খুব প্রভাব ফেলে।

চাক্তাই আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি আহসান খালেদ পারভেজ বলেন, দুদিন ধরে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কিছুটা বাড়তি। বাজার চাহিদা বাড়ার কারণে মোকামে দাম বেড়েছে। পেঁয়াজ কাঁচা পণ্য। চাইলেই বেশিদিন মজুদ করে রাখা যায় না। ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। ফলে তারা রপ্তানিতে বুকিং দর বাড়িয়েছে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বলেন, ব্যবসায়ীরা একেক সময় একেক অজুহাতে ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু এখন পেঁয়াজের বাজারেও উত্তাপ ছড়াচ্ছে। আসলে আমাদের দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজারে প্রশাসনের কার্যত তেমন একটা নিয়ন্ত্রণ নেই। ফলে ব্যবসায়ীরা নিজেদের খেয়াল খুশিমতো পণ্যের দাম ওঠানামা করান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইঞ্জিন বিকলের দেড়ঘণ্টা পর ছাড়ল সোনার বাংলা
পরবর্তী নিবন্ধবিশেষায়িত বার্ন ইউনিট নির্মাণে চীনা টিমের সাথে সমঝোতা