বৃষ্টি ও সরবরাহ সংকটের অজুহাতে কাঁচামরিচের দাম আবার বেড়েছে। গত দুদিনের ব্যবধানের নগরীর বিভিন্ন বাজারে কাঁচামরিচের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০০ টাকা পর্যন্ত। গতকাল প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৩০০ টাকায়। গত মাসের শুরুর দিকে কাঁচামরিচের দাম একবার ৪০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। পরে ধাপে ধাপে কমে কেজি ১৫০ টাকায় নেমে আসে। এখন আবার বেড়েছে। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির কারণে কাঁচামরিচের সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তাই দাম বেড়েছে।
নগরীর কয়েকটি কাঁচাবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুদিন আগে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকায়। দুদিনের ব্যবধানে কেজিতে আরো ১০০ টাকা বেড়ে গিয়ে গতকাল বিক্রি হয়েছে ৩০০ টাকায়।
কাঁচামরিচের হঠাৎ এমন মূল্য বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে কাজির দেউড়ি বাজারের কাঁচামরিচ বিক্রেতা মোহাম্মদ আজম বলেন, রেয়াজুদ্দিন বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা আমাদের জানিয়েছেন, বাজারে কাঁচামরিচের সংকট রয়েছে। গতকাল আমাদের প্রতি কেজি কাঁচামরিচ কিনতে হয়েছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়। এর মধ্যে অনেকগুলো মরিচ নষ্ট পড়ছে। তাই আমরা বেছে বেছে ভালো মরিচগুলো বিক্রি করছি। আমরা প্রতি কেজি ২০–৩০ টাকার বেশি লাভ করতে পারি না।
রেয়াজুদ্দিন বাজারের কাঁচামরিচের আড়তদার জিয়াউদ্দিন সুমন বলেন, কাঁচামরিচের সরবরাহ খুব কমে গেছে। কারণ মরিচের ফলন নেই। উল্টো বৃষ্টিতে সমস্যা হচ্ছে। চট্টগ্রামের বাজারে পাবনা থেকে সবচেয়ে বেশি কাঁচামরিচ আসে। সেখানকার ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বৃষ্টিতে কাঁচামরিচের প্রচুর গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। আর এখন কাঁচামরিচের উৎপাদনের মৌসুমও না। তাই দাম বেড়েছে।
ইলিয়াছ উদ্দিন নামে একজন ক্রেতা জানান, কাঁচামরিচের ব্যবহার হয় যৎসামান্য। অথচ দুদিনে দাম বেড়ে গেছে কেজিতে ১০০ টাকা। এটা একেবারে অস্বাভাবিক। ব্যবসায়ীরা আড়ত থেকে আগে কাঁচামরিচ কিনেছেন। তাহলে দুদিনে এত দাম কীভাবে বাড়ে?
ভোক্তারা জানান, কাঁচামরিচ অত্যাবশকীয় পণ্য নয়। তারপরও লাফিয়ে লাফিয়ে এই পণ্যটির দাম বেড়েছে। গত বছরও একবার দাম চারশ টাকা ছাড়িয়ে যায়। কখনো বৃষ্টি, কখনো খরা, এমন অজুহাত তৈরি করে তারা দাম বাড়াতে থাকেন। তাই প্রশাসনকে কাঁচামরিচের আড়ত এবং খুচরা বাজারে অভিযান চালাতে হবে।