রাজউকের প্লট নেওয়ায় ‘অনিয়ম’, বিদেশে ‘অর্থ পাচার’, বিডিআর হত্যা মামলায় ‘পক্ষপাত করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের’ অভিযোগে দুদকের সদ্য সাবেক কমিশনার মো. জহুরুল হকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। গত বৃহস্পতিবার তার বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন দুদকের ঊধ্বর্তন দুজন কর্মকর্তা।
তাদের একজন বলেন, ‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।’ খবর বিডিনিউজের।
দুদকের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মত কমিশনার পদমর্যাদার কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এর আগে দুদকের কোনো সাবেক বা বর্তমান কমিশনারকে দুর্নীতি বা অবৈধ সম্পদের অভিযোগে অনুসন্ধানের মুখোমুখি হতে হয়নি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে জহুরুলের পাসপোর্ট বাতিল করে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে।
সাবেক জেলা ও দায়রা জজ জহুরুল হক বিডিআর হত্যা মামলার বিচারক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে তিনি অবসরে যান। আওয়ামী লীগ সরকার তাকে বিটিআরসির কমিশনার এবং পরে চেয়ারম্যান করে।
২০২১ সালের ১০ মার্চ কমিশনার হিসাবে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) যোগ দেন জহুরুল হক। ক্ষমতার পালাবদলের পর গত ৩০ অক্টোবর তিনি পদত্যাগ করেন।
‘নিয়ম ভেঙে’ প্লট : জহুরুল হক ও তার স্ত্রী মাসুমা বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা নিয়ম ভেঙে দুটি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন। পরে আবার ওই দুটি প্লট ফিরিয়ে দিয়ে নিজেদের ‘ভূমিহীন’ দেখিয়ে নিয়েছেন ১০ কাঠার ‘এখনই বাড়ি করার উপযোগী’ একটি প্লট।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ‘সরকারি চাকুরিজীবী’ ক্যাটাগরিতে পাঁচ কাঠার দুটি প্লট বরাদ্দ নিয়েছিলেন তারা। পরে এই দুটি প্লট ফিরিয়ে দেওয়ার পর একই প্রকল্পের ২৫ নম্বর সেক্টরের ২০৬ নম্বর রোডের ৪৭ নম্বর প্লটটি বুঝিয়ে দেওয়া হয় তাদের। সেখানে বাড়ি নির্মাণের জন্য নকশার অনুমোদনও নেন দুদকের সাবেক এই কমিশনার।