বিএনপি চেয়ারপারসনের সামরিক উপদেষ্টার পরিচয়ে কনস্টেবল নিয়োগে তদবির করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম মাফতুল হোসেন। মঙ্গলবার বিকালে ঢাকার মিরপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করার কথা বলেছে দুদক।
গতকাল বুধবার দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, তিনি নিয়োগ পরীক্ষায় সহায়তার মাধ্যমে চাকরি দিতে অনৈতিক তদবির করেন এবং বিভিন্ন সময় ফোন ও এসএমএসের মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ করেন। খবর বিডিনিউজের।
দুদক জানায়, নিজেকে ‘জেনারেল আকবর’ পরিচয় দিয়ে তিনি বারবার দুদকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি দুই প্রার্থীর প্রবেশপত্র পাঠিয়ে নিয়োগে সুবিধা দেওয়ার অনুরোধ করেন। যোগাযোগের জন্য তিনি দুটি মোবাইল ফোন নম্বর ব্যবহার করতেন। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় ঢাকার মিরপুরের পশ্চিম কাজীপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন, দুটি সিম কার্ড, ছয় লাখ টাকার একটি তারিখবিহীন চেক এবং দুদকের নিয়োগ পরীক্ষার দুই প্রার্থীর প্রবেশপত্র জব্দ করা হয়। দুদক বলছে, চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তিনি ওই দুই চাকরি প্রত্যাশীর কাছ থেকে ৯ লাখ টাকার চেক নিয়েছিলেন। দুদক বলছে, মাফতুল হোসেন আগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক হিসেবে চাকরি করতেন। বিভিন্ন অভিযোগের কারণে বরখাস্ত হওয়ার পর তিনি প্রতারণাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন, চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাজিম উদ্দিন চৌধুরীর নাম ব্যবহার করে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ডিজির কাছে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেছিলেন। দুদক মনে করছে, এই প্রতারণা চক্রে আরও সদস্য জড়িত থাকতে পারে। নিয়োগপ্রত্যাশীদের সতর্ক থাকার পাশাপাশি কোনো ধরনের তদবির বা আর্থিক লেনদেনে না জড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে দুদক।












