চলেই যদি যাবে তবে এসেছিলে কেন?
কেন এই নিষ্ঠুরতা?
কেন যে এত বিদ্বেষ তোমাদের!
এই পৃথিবীর তরে! সুখ–দুঃখ দুটো
মিলেই তো জীবন!
এতদিন এত কাল এত বছর একসাথে কাটানো সময়ের মধ্য গগনে
হারিয়ে গেলে কোথায় কোন অজানায়!
কেন এত মান অভিমান?
একটি বারের জন্যও কি আমাকে মনে পড়ল না তোমার?!
আমি যে স্মৃতির পথে একা চলেছি
দীর্ঘ এ পথ একাকী বহন করে চলেছি
কবে কখন এর শেষ তা তো জানিনা!
প্রহরের পর প্রহর গুনে চলেছি
শেষ যে কবে তাও জানিনা!
চারপাশ জুড়ে একরাশ স্মৃতি আর স্মৃতি।
সকালের শুভ্রতায় আছো তুমি
দুপুরের অবসন্নতায় সেই তুমি
বিকেলের স্নিগ্ধতায় নীলিমায়
নীল আকাশ পানে চেয়ে দেখি সেই তুমি
কবে কখন আকাশের সন্ধ্যাতারা হয়ে গেলে!
দিনশেষে রাত্রির গভীর অন্ধকারে একা
নিস্তব্ধ আমি অপেক্ষায় থাকি
হঠাৎ করে তুমি আমায় চমকে দেবে!আবার আগের মত
আমার পাশে তুমি আর আমি পাশাপাশি কাছাকাছি।
আষাঢ়সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো
বৃষ্টি বৃষ্টি আর বৃষ্টি
এমনও দিনে তুমি আর আমি
বহুক্ষণ বহু সময় হারিয়ে গেছি গানের ভুবনে
শুনেছি রবি ঠাকুরের গান গদ্য কবিতা
‘মেঘের পরে মেঘ জমেছে আঁধার করে আসে
আমায় কেন বসিয়ে রাখ একা দ্বারের পাশে’
আর কোন দাবি নেই কারো কাছে
নেই কোন প্রশ্ন! নেই চাওয়া পাওয়ার
অধিকার। জানি আমি হারিয়েছি সবকিছু তবুও আশা জাগে
ফিরে যদি পাই একটিবার।
একাকীত্বের এই মহাশূন্যতায়
আমি নিশ্চুপ দর্শক কেবল।
কখনো চাইবো না তুমি ফিরে
এসো জানি
তুমি ফিরে আসতে পারবে না আর কোনদিন,
তোমার জগতে তুমি ভালো থেকো
আমি আমার মতই শূন্যতার মাঝে
তোমাকে খুঁজে যাবো আজীবন।