নগরীর নাসিমন ভবন এলাকায় সংবাদ সংগ্রহের সময় একটি বেসরকারি টেলিভিশনের দুই সাংবাদিককে পুলিশ হেনস্তা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সিনিয়র সাংবাদিকরা কোতোয়ালী থানার ওসির প্রত্যাহার দাবি করেছেন। এদিকে কোতোয়ালী থানার ওসি জাহিদুল কবীর বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মোটেই সত্য নয়। হেনস্থার শিকার বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভি চট্টগ্রাম ব্যুরোর সিনিয়র রিপোর্টার আরিচ আহমেদ শাহ আজাদীকে বলেন, নূর আহম্মদ সড়ক দিয়ে আসার পথে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশের প্রিজন ভ্যান দেখে আমি ও আমাদের ক্যামেরা পারসন সুমন গোস্বামী গাড়ি থেকে নেমে ছবি নিতে যাই।
এসময় ওসিসহ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা বাধা দিলে আমি তাদের সঙ্গে কথা বলি। দুই মিনিটের মধ্যে সরে না গেলে বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে আমাদেরও গ্রেপ্তারের হুমকি দিতে থাকেন কোতোয়ালী থানার ওসি। এক পর্যায়ে কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রুবেল হাওলাদার এসে আমাকে ধাক্কা দিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেন। পুলিশ সদস্যরা আমাদের ক্যামেরার মেমোরি কার্ড খুলে নিয়ে যান। ঘণ্টাখানেক পর মেমোরি কার্ডটি ‘ফরমেট’ করে ফেরত দেয়া হয়। কার্ড ফরমেট করে দেওয়ায় শেখ কামাল যুব গেমস, চমেক হাসপাতালের দুদকের অভিযানের সংবাদের যেসব ফুটেজ ছিল সেগুলোও মুছে যায়।
সাংবাদিক হেনস্থার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ওসি জাহিদুল কবীর আজাদীকে বলেন, আমি ওপেন চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, তারা যেসব অভিযোগ তুলেছেন, তার পক্ষে একটা প্রমাণ দিতে পারলে আমি মেনে নেব। বাস্তবতা হলো এমন কিছুই ঘটেনি। বরং তারা ( সাংবাদিক) আমাদের কাছে ওয়ারেন্ট ছাড়া কেন আটক করেছি তার জবাব চান, যা সাংবাদিক হিসেবে তারা জানতে চাইতে পারেন না। কারণ তারা তো রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী নন। ওসি বলেন, ঘটনাস্থলে আমার কোতোয়ালী জোনের এসি স্যারও ছিলেন। তারা যখন বিভিন্ন প্রশ্ন করছিলেন, তখন তাদেরকে বলেছি, অন্যান্য মিডিয়াও আসুক, তারপর একসাথে পুরো ঘটনা ব্রিফ করি। কেন গ্রেপ্তার করলাম, কোথা থেকে করলাম সব জানাব।
মেমোরি কার্ড ডিলিট করার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ক্যামেরা টাচই করিনি। শুধু ডিলিট করে দিতে অনুরোধ করেছি, তিনি নিজেই ডিলিট করে দিয়েছেন। এনটিভির পর আরো একটি টিভি চ্যানেল আমার কাছে বক্তব্য নিতে এসেছিল। তাদের সহযোগিতা করেছি। আর এনটিভির সাংবাদিক ভাইয়ের সাথে আমাদেরতো কোনও শত্রুতা নেই। আমরা যেমন সেখানে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছিলাম, সাংবাদিক ভাইয়েরাও সেখানে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য গিয়েছিলেন।







