বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ কৃত্রিম জলাধার কাপ্তাই লেক থেকে মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন মৎস্য আহরণ করে দুই মাসে ২ কোটি ২৬ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। বিগত সময়ে দুই মাসে এই পরিমাণ রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হয়নি। কাপ্তাই মৎস্য উন্নয়ন উপ কেন্দ্রের প্রধান কর্মকর্তা মো. মাসুদ আলম দুই কোটি ২৬ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেন। কাপ্তাই লেকে মাছের প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত ১ মে থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ৪ মাস মাছ শিকার নিষিদ্ধ ছিল। পরে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে পুনরায় কাপ্তাই লেক থেকে মাছ শিকার কার্যক্রম শুরু হয়। ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এই দুই মাসে কাপ্তাই লেক থেকে ১ হাজার একশ মেট্রিক টন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ অবতরণ করা হয়। উক্ত মাছ শুল্ক দিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসায়ীরা বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যান। এই শুল্ক বাবদ দুই কোটি ২৬ লক্ষ টাকা সরকারি রাজস্ব আদায় হ। আগামী মাস গুলোতে কাপ্তাই লেক থেকে আরো বেশি পরিমাণ মাছ পাওয়া যাবে বলে মৎস্য কর্পোরেশন আশা প্রকাশ করে।
উল্লেখ্য, অন্যান্য বছর কাপ্তাই লেক থেকে মাছ ধরা ৩ মাস নিষিদ্ধ থাকলেও এ বছর টানা ৪ মাস মাছ শিকার নিষিদ্ধ ছিল। নিষিদ্ধকালীন সময়ে কোন ভাবে জেলেরা যাতে লেক থেকে মাছ শিকার না করে সেজন্য সরকারিভাবে প্রত্যেক জেলেকে মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণে খাদ্যশস্য প্রদান করা হয়। প্রজনন মৌসুমে কাপ্তাই লেক থেকে কোন জেলে মাছ শিকার না করায় এ বছর কাপ্তাই লেকে বিপুল পরিমান মাছের বংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মনে করছেন।