দুই মামলায় আসামি ৫শ, গ্রেপ্তার ২৫

নৌকা প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর ।। কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা নেয়নি বলে নগর বিএনপি নেতাদের অভিযোগ

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২১ জুলাই, ২০২৩ at ৪:২৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের ১০ আসনের নৌকার প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চুর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় নগরীর খুলশী থানায় দুটি মামলা হয়েছে। এতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৫৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর গ্রেপ্তার করা হয় ২৫ জনকে। এদিকে কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা করতে গেলে তা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন নগর বিএনপির নেতারা।

গত বুধবার আরিফুল ইসলাম নামে আওয়ামী লীগের এক কর্মী ও খুলশী থানার এসআই শাহেদ খান বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন। দুই মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা। তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িত ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এদিকে গ্রেপ্তারকৃত ২৫ জনকে গতকাল চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হালিমের আদালতে তোলা হলে তিনি তাদের প্রত্যেককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তাদের পাঁচদিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। আগামী রোববার রিমান্ডের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম মামলায় কারও নাম উল্লেখ না থাকলেও আসামি করা হয় ২৫০৩০০ জন অজ্ঞাতনামাকে। অপরদিকে এসআই শাহেদ খানের করা মামলাটিতে ৫৩ জনের নাম উল্লেখসহ ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

পুলিশের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল এবং দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করে সড়কে যান চলাচলে বাধা দেয়। পুলিশকে সরকারি কাজে বাধা দেয়। তাদের হামলায় খুলশী থানার পুলিশের এসআই জামাল উদ্দিন, এএসআই রাজেশ বড়ুয়া, কনস্টেবল এনামুল হক, মেজবাহ উদ্দিন আহত হন। এজাহারে থাকা আসামিদের মধ্যে রয়েছেন নগরের পাঁচলাইশ থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক রিদোয়ান হোসেন, লালখান বাজার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম, পাহাড়তলী ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. জাহেদ। বাকিরা সবাই বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মী। বুধবার (১৯ জুলাই) বিকেলে পদযাত্রা শেষে ফেরার পথে বিকালে বিএনপিকর্মীরা নগরীর লালখান বাজার এলাকায় চট্টগ্রাম১০ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চুর নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালায়। এতে আওয়ামী লীগের ২০ জন আহত হন। এরপর সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে এক কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএক পরিবারের কাছে ১২শ কোটি টাকার ঋণ
পরবর্তী নিবন্ধএটা তো ভুল নয়, অপরাধ