দুই বিশেষজ্ঞ সদস্য ছাড়াই শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের সভা

চবি নাট্যকলা বিভাগ

চবি প্রতিনিধি | সোমবার , ২২ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৫:৪৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের সভা বিশেষজ্ঞ দুজন সদস্য ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয়েছে। চার সদস্যের মধ্যে দুজন অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও শুধু বিভাগের সভাপতিকে নিয়ে নিয়োগ বোর্ডের সভা করেছেন উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। উপাচার্যের কার্যালয়ে গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় এ সভা হয়।

এই নিয়োগ বোর্ডে সিন্ডিকেট মনোনীত বিশেষজ্ঞ সদস্য হলেন নাট্যকলা বিভাগের প্রফেসর ড. কুন্তল বড়ুয়া ও বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদ। দুজনই সভায় অনুপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে গতকাল সকালে উপাচার্য বরাবর চিঠি দিয়েছেন প্রফেসর ড. কুন্তল বড়ুয়া। তিনি চিঠিতে লেখেন, নাট্যকলা বিভাগের তিনটি প্রভাষক (অস্থায়ী) পদের জন্য নির্বাচনী বোর্ডে নাট্যকলা বিভাগের পরিকল্পনা কমিটির সুপারিশ বা সিদ্ধান্তকে রেজিস্ট্রার অফিস কর্তৃক অগ্রাহ্য করার কারণে নাট্যকলা বিভাগের সিনিয়র মোস্ট শিক্ষক হিসেবে আমি সংক্ষুব্ধ। তাছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে আমি শঙ্কা অনুভব করছি। ফলে উক্ত দিনে নাট্যকলা বিভাগের নির্বাচনী বোর্ডের বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে সভায় উপস্থিত থাকতে অপারগতা প্রকাশ করছি।

পরে এ বিষয়ে প্রফেসর ড. কুন্তল বড়ুয়া গণমাধ্যমকে বলেন, নাট্যকলা একটি প্রায়োগিক বিষয়। সেখানে বিশেষজ্ঞ শিক্ষক ছাড়া কীভাবে নিয়োগ হবে সেটা নিয়ে আমার প্রশ্ন। আমরা চারজন বোর্ডের মেম্বারের মধ্যে দুজনই বোর্ডের সভায় উপস্থিত ছিলাম না।

এ ব্যাপারে অপর সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তিনি কেন অনুপস্থিত ছিলেন সেটার কারণও জানা যায়নি।

জানা যায়, গতকাল নাট্যকলা বিভাগের তিনটি পদের বিপরীতে শিক্ষক নিয়োগের নির্বাচনী বোর্ডের সভা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। পদাধিকারবলে আরেকজন সদস্য হলেন বিভাগের সভাপতি শাকিলা তাসনিম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদ সভার বিষয়ে বলেন, কোরাম হয়েছে, তাই বোর্ড হয়েছে।

এ বিষয়ে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার ও নাট্যকলা বিভাগের সভাপতি শাকিলা তাসনিমের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আবদুল হক বলেন, অনেকগুলো বেআইনি ও প্রশ্নবিদ্ধ নিয়োগ উপাচার্য দিয়ে আসছিলেন। এটি তার ব্যতিক্রম কিছু না। তারা এ ধরনের কার্যক্রম গণহারে চালিয়ে আসছিলেন বলেই আমরা উপাচার্য ও উপউপাচার্যের পদত্যাগ চাচ্ছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধসরকারি আবাসন পরিদপ্তরের সাবেক উপ-পরিচালক মীর হোসেনের তিন বছরের কারাদণ্ড