উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত দুদিনব্যাপী লোকায়ত আবৃত্তি উৎসবের সমাপনী দিন গত শনিবার দুই বাংলার আবৃত্তিশিল্পী ও কবি–সাহিত্যিকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছাকথন পর্বে বিশেষ অতিথি জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, চট্টগ্রাম সবসময় অগ্রগামী। ইতিহাসের পরতে পরতে বীর চট্টলার অবদান অনস্বীকার্য। তেমনিভাবে লোকায়ত আবৃত্তি উৎসবের আয়োজন করে উচ্চারক আরো একবার প্রমাণ করল চিন্তার প্রাগ্রসরতায় এখনও চট্টগ্রাম এগিয়ে।
উচ্চারক সভাপতি সাংবাদিক ফারুক তাহেরের সভাপতিত্বে এবং সহসভাপতি এ এস এম এরফান ও সাধারণ সম্পাদক শামীমা ইয়াছমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দিনের আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন লেখক ও সংগঠক খনরঞ্জন রায় এবং সংস্কৃতিকর্মী ও লেখক সজল চৌধুরী।
একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, সুমন্ত্র সেনগুপ্ত, অঞ্চল চৌধুরী, মাসকুর এ সাত্তার কল্লোল, মাসুম আজিজুল বাসার, ঝর্ণা আলমগীর, প্রদ্যোত রায়, মিসবাহ রাবিন, বনকুসুম বড়ুয়া, মো. মুজহিদুল ইসলাম, চিংলামং চৌধুরী, প্রতিভা চৌধুরী, রেজওয়ানা অনন্যা, সেলিম ভুইয়া, ঐশী পাল, আবদুল্লাহ ফারকি রবি, প্রভা বিজয়া, মেহেদী হাসান আকাশ, আল ইমরান, সোহান আল মাফি ও সুপ্রিয়া চৌধুরী। দলীয় প্রযোজনা মাইকেল মধুসূধন দত্তের ‘মেঘনাদবধ’ পরিবেশন করেন পশ্চিমবঙ্গের আবৃত্তিনন্দনের আবৃত্তিশিল্পী অলোক বন্দ্যোপাধ্যায়, রত্না বন্দ্যোপাধ্যায়, অরণি দাশ ও কুমকুম পাল। উচ্চারক পরিবেশন করে পালাগানের প্রযোজনা ‘নুরুন্নেহা ও কবরের কথা’। স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কবি সাথী দাশ, আকতার হোসাইন, আবু মুসা চৌধুরী, রেহেনা পারভীন, শহীদ মিয়া বাহার, কাশেম আলী রানা, ভাগ্যধন বড়ুয়া, বাবলা চৌধুরী ও পশ্চিমবঙ্গের জয়দীপ লাহিড়ী।