চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সবগুলো সাব কমিটি এরই মধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। গত বুধবার সবগুলো কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়। ৩০ টি পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে বডি বিল্ডিং কমিটিই একমাত্র কমিটি যেখানে সভাপতি এবং সম্পাদক দুজনই বডি বিল্ডার। শুধু বডি বিল্ডারই নন তারা, একেবারে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করা বডি বিল্ডার। কমিটির সভাপতি করা হয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের প্রতিনিধি শৈবাল দাশ সুমনকে। আর সম্পাদক করা হয়েছে ইউনাইটেড ক্লাবের প্রতিনিধি এ কে এম সাইফুদ্দিন চৌধুরীকে। এই দুজনের নেতৃত্বে দীর্ঘ দিন ধরে ঝিমিয়ে থাকা চট্টগ্রামের বডি বিল্ডিং আবার জেগে উঠবে তেমনটাই প্রত্যাশা সবার। অবশ্য দায়িত্ব পাওয়া্র পরই কমিটির চেয়ারম্যোন শৈবাল দাশ সুমন জানিয়েছেন তার লক্ষ্যের কথা। জাতীয় পর্যায়ে বডিবিল্ডিংয়ে একাধিকবার পদক পাওয়া সুমন জানান যেহেতু দীর্ঘ দিন ধরে বডিবিল্ডিং হচ্ছে না তাই আমরা একেবারে কোরবানের পরেই জমজমাটভাবে একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চাই। যেহেতু জেলা ক্রীড়া সংস্থায় খেলতে হলে ক্লাবের হয়ে খেলতে হবে। আর ক্লাবগুলো কখনো বডিবিল্ডিং নিয়ে তেমন মাথা ঘামায়নি। চট্টগ্রামে যেসব বডিবিল্ডিং ক্লাবগুলো রয়েছে তাদের নিয়ে বসে একই সাথে জেলা ক্রীড়া সংস্থার নিবন্ধিত ক্লাবগুলোর সাথেও বসে আমরা একটি কর্মপন্থা তৈরি করতে চাই। সুমন বলেন যেহেতু কমিটিতে আমরা দুজনই বডিবিল্ডার কাজেই আমাদের কাজ করতে অনেক সুবিধা হবে।
কমিটির সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়া এ কে এম সাইফুদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমরা নতুন করে চট্টগ্রামের বডিবিল্ডিংটাকে জাগিয়ে তুলতে চাই। তিনিও একটি জমজমাট টুর্নামেন্ট দিয়ে মৌসুম শুরু করতে চান। যেহেতু দীর্ঘ সময় চট্টগ্রামে বডিবিল্ডিংটা হয়নি, সেহেতু ক্লাবগুলোকে আগে আমাদের বিষয়টা অবগত করতে হবে। এরপর বডিবিল্ডারদের নিয়ে বসে দল গঠন করতে হবে। তারপরও সুন্দর একটি আয়োজন দিয়ে শুরুটা করতে চাই। সামনে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। তিনি বলেন বলতে গেলে আমাদের অনেক কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তবে সেটা সবাইকে নিয়ে করতে চাই। আমরা চাই চট্টগ্রামে অন্যান্য ইভেন্টগুলোর মত বডিবিল্ডিংকে জনপ্রিয় করে তুলতে চাই। তবে সে জন্য আগে ক্লাব গুলোকে নিয়ে আমাদের বসতে হবে। তারপরও শিডিউল করে বছরের ইভেন্ট গুলো করতে চাই।
কমিটিতে যারা রয়েছে তাদের সবাইকে নিয়ে বডিবিল্ডিংকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন সাইফুদ্দিন। কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে নুরুল আবছার, নওসাদ সরওয়ার, ইউনুচ চৌধুরী, নিজাম উদ্দিন মাহমুদ হোসাইন এবং জসিম আহমেদকে। যুগ্ম সম্পাদক করা হয়েছে সামিউল হাসান রুমন, সেলিম হক এবং এস এম আশফাককে।