দুই বখাটেকে আসামি করে মায়ের মামলা, খুনিরা পলাতক

চকরিয়ায় ডেকে নিয়ে যুবককে হত্যা

চকরিয়া প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২৮ জুলাই, ২০২৩ at ৫:২০ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ‘কথা আছে’ বলে ডেকে নিয়ে যুবক সেফায়ত হাবিবকে (২২) ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলায় এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে দুই বখাটেকে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে থানায় মামলাটি রুজু করেন নিহতের মা উম্মে হাবিবা।

মামলার এজাহারনামীয় দুই আসামি হলেন, বিএমচর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের স্কুলপাড়ার আবু বক্করের ছেলে তারেকুল ইসলাম মিশুক (২০) ও সেফায়ত হাবিবকে ডেকে পাঠানো একই এলাকার আবু তালেবের ছেলে আরফাতুল ইসলাম (২২)। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সেফায়ত হাবিব আর কিছুদিন পরেই সৌদি আরব চলে যেতো। এজন্য যাবতীয় কাগজপত্র সম্পাদন করা হয়েছে। তবে আগে থেকেই স্থানীয় ফার্নিচারের দোকানে সে কাজ করতো। গত ২৪ জুলাই রাত এগারটার দিকে সেই দোকানের আরো কয়েকজনসহ সেফায়ত হাবিব স্কুল গেটের কাছে যেতেই জাহেদ কুলিং কর্নার থেকে বখাটে তারেকুল ইসলাম মিশুক ডাক দিয়ে বলে ‘কোথায় যাচ্ছিস’ দাঁড়া। তখন সেফায়ত হাবিব ও তার সঙ্গীরা বলে, তোমার সাথে কোনও কথা নেই। এ সময় বখাটে তারেকুল উল্টো গালিগালাজ করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গিয়ে তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। কিন্তু পরদিন ২৫ জুলাই বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সহযোগী

আরফাতুলের মাধ্যমে সেফায়ত হাবিবকে ডেকে পাঠায় বখাটে তারেকুল। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সেফায়ত হাবিব অনুশীলন একাডেমি স্কুলের সামনে যাওয়া মাত্র দুইজনই তাকে দিগম্বর করে আড়ালে নিয়ে যায়। এ সময় তারেকুল তার প্যান্টের পকেট থেকে ছুরি বের করে সরাসরি সেফায়ত হাবিবের পেটে চালিয়ে দেয়। এতে নাড়িভুড়ি বের হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সেফায়ত হাবিব। তাৎক্ষণিক তাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রেরণ করা হয় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাত পৌণে নয়টার দিকে মারা যায় সে।

চকরিয়া থানার অপারেশন অফিসার রাজীব চন্দ্র সরকার বলেন, ‘চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যাওয়ার পর সেখানেই সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এর পর লাশ হস্তান্তর করা হলে পরদিন (গত বুধবার) তাকে দাফন করা হয়। এর পর পরিবারের পক্ষ থেকে আজ (গতকাল) থানায় লিখিত এজাহার জমা দিলে তা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়।’

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ আজাদীকে বলেন, ‘সেফায়ত হাবিব হত্যা মামলার এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।’

নিহত সেফায়ত হাবিবের মা ও মামলার বাদী উম্মে হাবিবা আজাদীকে বলেন, ‘আমার পুত্রধন আর কয়েকদিন পরেই সৌদি আরব চলে যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে তার বাবা অনেকদিন ধরে রয়েছে। কিন্তু সৌদি আরব যাওয়ার আগেই আমার বুক খালি করে দিল বখাটের দল। আশা করি পুলিশ খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করবে।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধআমরা রাস্তা বানাব আর অন্য সংস্থা রাতে কেটে ফেলবে?
পরবর্তী নিবন্ধস্যুয়ারেজ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে