দুই ফার্মেসিকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা

বাড়তি দাম ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২০ আগস্ট, ২০২৪ at ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ

মেয়াদোত্তীর্ণ ও বাড়তি দামে ওষুধ বিক্রি এবং আমদানিকৃত তথ্যবিহীন সার্জিক্যাল পণ্য বিক্রিসহ নানা অভিযোগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের দুটি ফার্মেসিতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্মিলিতভাবে অভিযান চালিয়েছে।

গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের মেসার্স সাহান মেডিকো এবং জমজম ফার্মেসিতে। অভিযানে দুই ফার্মেসিকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ এ জরিমানা করেন। মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ আজাদীকে বলেন, সেনাবাহিনীর নির্দেশে আমরা চমেক হাসপাতালের সামনের ওষুধের দুটি দোকানে অভিযান চালিয়েছি।

অভিযানে সেনাবাহিনীর মেজর এম এম নাজমুলও উপস্থিত ছিলেন। সেনাবাহিনীকে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছিলেন। অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্য, চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়, ড্রাগ সুপার কার্যালয় এবং শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করেন।

উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ বলেন, বিদেশ থেকে ওষুধ এনে বাড়তি দামে বিক্রি এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ ও ওষুধের মূল্য কেটে বর্ধিত মূল্য উল্লেখ করার দায়ে মেসার্স সাহান মেডিকোকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ওষুধের মূল্য কেটে বর্ধিত মূল্য উল্লেখ করার দায়ে জমজম ফার্মেসিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

তিনি আরও জানান, সাধারণ মানুষ বিপদে পড়ে চমেক হাসপাতালের সামনের দোকানগুলো থেকে ওষুধ কিনেন। তখন রোগীর স্বজনদের ওষুধের মূল্য যাচাই করার সুযোগ থাকে না। এই সুযোগ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাড়তি দাম নেন। অভিযানে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ করার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়া একটা দোকান আমদানির তথ্য বিহীন সার্জিক্যাল পণ্য বিক্রি করছে। অথচ এই সার্জিক্যাল পণ্যগুলো আমাদের দেশেও রয়েছে। সেগুলো তারা বিক্রি করতে পারে। কিন্তু তারা বেশি লাভ কারার আশায় আমদানিকৃত সার্জিক্যাল পণ্য বেশি দামে বিক্রি করছে।

এ সময় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (মেট্রো) মো. আনিছুর রহমান, চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিসের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াজেদ চৌধুরী, ড্রাগ সুপার কার্যালয়ের ড্রাগ সুপারইন্টেডেন্ট ফজলুল হক উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনতুন ব্রিজ-টাইগারপাস টেম্পো চলাচল বন্ধ ছিল ১০ ঘণ্টা
পরবর্তী নিবন্ধহারুন ও বিপ্লবের বিরুদ্ধে বিএনপির ফারুকের মামলা