দুই পাশে ফেলে রাখা গাছের গুঁড়ি চলাচলে বাড়াচ্ছে ঝুঁকি

বাঁশখালী প্রধান সড়ক

বাঁশখালী প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৬:০১ পূর্বাহ্ণ

বাঁশখালীর একমাত্র প্রধান সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাছ ও ফেলে রাখা গাছের গুঁড়ি (টুকরো) যান ও মানুষ চলাচলে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। বিগত অক্টোবরে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় হামুনের ফলে বাঁশখালী প্রধান সড়কের দুই পাশে অনেক গাছ ভেঙে পড়ে। সে সব গাছ উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস টিমের সদস্যরা সড়ক থেকে কিছুটা সরিয়ে গাড়ি চলাচল ও লোকজন চলাচলের ব্যবস্থা করেন। তবে এখনও পর্যন্ত বাঁশখালীর একমাত্র প্রধান সড়কের দুই পাশে পৌরসভার জলদী, পাইরাং, কালিপুর, বৈলছড়ি, শীলকূপ, চাম্বল, পুকুরিয়া, সাধনপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা গাছ ও ফেলে রাখা গাছের গুঁড়ি যান ও মানুষ চলাচলে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে ঘটছে দুর্ঘটনাও।

সিএনজি টেক্সি চালক জসীম জানান, গাছগুলো না সরানোর ফলে প্রায় গাড়ি চালাতে ও পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে এগুলো সরানো প্রয়োজন। একই কথা বললেন সরলের পাইরাং এলাকার আবুল কাসেম, খলিলসহ আরো কয়জন। তারা বলেন, ফেলে রাখা গাছের এ গুঁড়িগুলো চলাচলে নানা রকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। কিন্তু কেন সেগুলো সরানো হচ্ছে না তা বোধগম্য নয়।

জানা যায়, রাস্তার দুই পাশের গাছগুলো উপকূলীয় বনবিভাগের আওতায়। ঘূর্ণিঝড় হামুনের ফলে বাঁশখালী প্রধান সড়কের দুই পাশে অসংখ্য গাছ ভেঙে পড়লে তা জরুরি ভিত্তিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জনগণ ও ফায়ার সার্ভিস টিমের সদস্যরা কেটে সড়ক থেকে কিছুটা সরিয়ে গাড়ি চলাচল ও লোকজন চলাচলের ব্যবস্থা করে। তবে দীর্ঘ চার মাসেরও বেশি সময় সেগুলো সরানোর উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্টরা।

জানতে চাইলে জলদী অভয়ারণ্য রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও চাম্বল বনবিট কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ বলেন, এসব উপকূলীয় বন বিভাগের দায়িত্ব। আশা রাখি প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে তারা উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফখরুলের জামিন ফের নাকচ
পরবর্তী নিবন্ধবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নিলেন সায়মা ওয়াজেদ