সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার ৭ম দফায় ৩ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে আজ বুধবার (১৭ নভেম্বর)। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলামের জবানবন্দি শেষে গত দুই দিনেও শেষ হলো না আসামিপক্ষের আইনজীবীদের জেরা।
আদালত মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করেছে আগামী ২৯, ৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর।
৭ম দফা সাক্ষ্যগ্রহণের তৃতীয় দিন আজ বুধবার সকালে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয় মামলার ৬৫তম স্বাক্ষী ও তদন্তকারী কর্মকর্তার অসমাপ্ত জেরার মধ্যদিয়ে। আগের দিন মঙ্গলবার তার জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আংশিক জেরার পর দ্বিতীয় দিনের মতো আদালতের বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়েছিল।
তবে এই স্বাক্ষীকে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের জেরা গত দুই দিনেও শেষ হয়নি বলে জানান এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী, কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।
তিনি জানান, আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল সোয়া ৫টা পর্যন্ত কক্সবাজার ও জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ চলে।
এ মামলায় মোট ৮৩ জন স্বাক্ষী রয়েছেন যাদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৬৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে। ৬৫তম স্বাক্ষী মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. খায়রুল ইসলামের জবানবন্দি শেষ হলেও জেরা বাকি রয়েছে।
আদালতের সূত্রমতে, আদালতের কার্যক্রম শেষে টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ সহ অন্য আসামিদের প্রিজন ভ্যানে করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সিনহা হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলাকালে আজ বুধবার প্রথমবারের মতো ওসি প্রদীপকে খুবই বিমর্ষ দেখা যায়। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় ওসি প্রদীপ সহ এই মামলার ১৫ জন আসামিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আদালতে নিয়ে আসা হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩১ জুলাই ঈদুল আযহার আগের দিন রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
