চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী গতকাল শুক্রবার বিকেল ৪ টায় ১ নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন। তিনি যখন দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের বালুছরা এলাকায় প্রবেশ করেন তখন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী গাজী শফিউল আজিম তাকে শুভেচ্ছা জানান এবং মেয়র প্রার্থীর গাড়ির বহরে যুক্ত হন।
এর দুইশ গজ দূরে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে মেয়র প্রার্থীর গাড়ি বহর থামিয়ে রাস্তায় শোডাউন করেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী তৌফিক আহমেদ চৌধুরী। এসমসয় তিনি মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীকে ফুলের নৌকা উপহার দেন। তিনি সবাইকে স্বাগত জানান। বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী তৌফিক আহমেদ চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকরা মোটর সাইকেল-কার-মাইক্রো-জিপে করে ম্লোগান দিতে দিতে মেয়রের জনসংযোগ যুক্ত হন। এসময় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকরা কার আগে কে গণসংযোগে যোগ দেবেন এই নিয়ে উভয়ের মধ্যে উত্তজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী এবং গাড়ি থেকে নেমে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন উভয়কে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিয়ে তাদের গাড়িবহর সামনে এগিয়ে যায়। এরপর ফতেয়াবাদ চৌধুরী হাট এলাকায় রেজাউল করিম চৌধুরীর গাড়িতে দাঁড়িয়ে সড়কের উভয় পাশে অপেক্ষমান জনগণের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। নন্দীরহাট এলাকায় গাড়ি বহর থামলে আবার দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শ্লোগান-পাল্টা শ্লোগান এবং তাদের একাধিক গাড়ির বহরে হাটহাজারী সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। এসময় গাড়ি থেকে মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী এবং গাড়ি থেকে নেমে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরাসহ এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রেখে গাড়ি বহর নিয়ে ২নং জালালাবাদ ও ৩নং পাঁচলাইশ ওয়ার্ডে গণসংযোগে চলে যান।
এসময় নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আজম নাছির উদ্দিন, সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, নগর আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগ নেতা শফর আলী, সদস্য বেলাল আহমেদ, নগর যুবলীগ যুগ্মআহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, ইলিয়াস উদ্দিন, নুরুন্নবী সাহেদ, সাবেক কাউন্সিলর জাফর আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।