দুইদিনে ৯ হাজার ৮৯৩ টন কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণ

কাজ করলেন চসিকের ৪ হাজার ২০০ শ্রমিক

| শুক্রবার , ১৩ জুন, ২০২৫ at ৬:২৫ পূর্বাহ্ণ

নগরের ৪১ ওয়ার্ড থেকে দুইদিনে ৯ হাজার ৮৯৩ টন কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণ করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। প্রথমদিন বিকেল ৪ টার মধ্যে প্রধান সড়ক এবং সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে পুরো শহরের অলিগলি থেকে বর্জ্য পরিষ্কার করেছে সংস্থাটি। দ্রুত সময়ে শহর পরিষ্কার হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন নগরবাসী।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার ঈদুল আজহার দিন সকাল ৮টা থেকে ডাম্প ট্রাক, কম্পেক্টর, পে লোডারসহ ৩৬৯টি গাড়ি নিয়ে ৪ হাজার ২০০ শ্রমিক পাড়ামহল্লায় ঘুরে ঘুরে কোরবানি পশুর বর্জ্য সংগ্রহ করছেন। সঙ্গে সঙ্গে পানি ও ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে কোরবানির স্থানটিকে পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে।

জানা গেছে, ঈদের দিন সকাল থেকেই পরিচ্ছন্নতা অভিযান তদারকিতে মাঠে থাকেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে নগরবাসী ও পরিচ্ছন্নকর্মীদের আবর্জনা অপসারণ, রক্ত ধুয়ে দেওয়া এবং ব্লিচিং পাউডার ছিটানোর কাজ পর্যবেক্ষণ করেন।

পাশাপাশি দামপাড়ায় নগর সংস্থার একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়। যেখান থেকে সার্বক্ষণিক নজরদারি চালানো হয়। দুটি হটলাইন নম্বর ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ যাতে অভিযোগ বা পরামর্শ জানাতে পারে কন্ট্রোল রুমে।

কোরবানির দিন রাতে নগরের দামপাড়ায় চসিকের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে সাংবাদিকদের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে নগরের কোরবানির বর্জ্য অপসারিত হয়েছে। সকাল থেকে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন আমাদের পরিচ্ছন্ন বিভাগের সব কর্মকর্তাকর্মচারী, তাদেরকে ধন্যবাদ।

এর আগে বিকাল ৩টায় নগরের পুরাতন বিমান অফিস এলাকায় বর্জ্য অপসারণের কাজ পরিদর্শনকালে মেয়র বলেন, বেশিরভাগ কোরবানি পশুর বর্জ্য দুপুর দেড়টার মধ্যে অপসারণ করা হয়েছে। সকাল থেকে বাকলিয়া, চকবাজার, লালখান বাজার, কাপাসগোলা, দামপাড়াসহ অনেক জায়গায় আমি ঘুরেছি। ১১টার মধ্যে অনেক জায়গায় ক্লিন হয়ে গেছে। আবার যখন ঘুরে আসছিলাম দেড়টার দিকে বেশিরভাগ জায়গা কিন্তু ক্লিন করে ফেলেছে। আশা করছি ৫টার মধ্যে ক্লিন করতে পারব। যারা কোরবানি দিয়েছেন, তারাও সবাই চট্টগ্রাম শহরকে সুন্দর রাখার জন্য পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২ জুন সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের সঙ্গে এক সভায় মেয়র কোরবানির বর্জ্য অপসারণের জন্য বিকাল ৫টা সময় বেধে দেন।

চসিকের উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা আজাদীকে বলেন, কোরবানির দিন বিকেল ৪টার মধ্যেই পুরো শহর পরিষ্কার হয়ে যায়। কোরবানির দুইদিনে ৯ হাজার ৮৯৩ টন বর্জ্য অপসারণ করেছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবেপরোয়া গতির কার কেড়ে নিল কিশোরের প্রাণ
পরবর্তী নিবন্ধ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হোন’