দুইদিনে কেজিতে ১০ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম

বেড়েছে সরবরাহ

জাহেদুল কবির | বুধবার , ১২ জুলাই, ২০২৩ at ৫:১৬ পূর্বাহ্ণ

সরবরাহ বাড়ার কারণে চাক্তাই খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে কমছে পেঁয়াজের দাম। গত দুইদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ১০ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে প্রতিদিন চাক্তাই খাতুনগঞ্জের বাজারে গড়ে ২০২৫ ট্রাক পেঁয়াজবাহী ট্রাক আসছে। যার ফলে দাম নিম্নমুখী। গতকাল চাক্তাই খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে ভালো মানের ভারতীয় নাসিক পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। এছাড়া খাসখালী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। এদিকে পাইকারীতে দরপতন হলেও খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা।

চাক্তাই খাতুনগঞ্জের কয়েকজন আড়তদার জানান, সরবরাহের ওপর ভিত্তি পেঁয়াজের বাজার উঠানামা করে। গত কয়েকদিনে ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ আসছে। সে অনুপাতে ক্রেতা নাই। বলা যায়, কোরবানির ঈদের পর বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা কিছুটা কমেছে। তাই দামও নিম্নমুখী। পেঁয়াজ কাঁচাপণ্য চাইলেও মজুদ করে রাখা যায় না। এরমধ্যে বর্তমান আবহাওয়াও অনুকূলে না।

অন্যদিকে কাজীর দেউড়ির খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বড় আকারের ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা এবং মাঝারি আকারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। খুচরা বিক্রেতা মিজানুর রহমান বলেন, পাইকারীর বাজারে দাম কমলেও আমাদের পেঁয়াজ আগের দামে কেনা। তাই এখন চাইলেও পাইকারী বাজারের সাথে সমন্বয় করে বিক্রি করতে পারি না।

খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস দৈনিক আজাদীকে বলেন, খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। উল্টো সেই হিসেবে ক্রেতা নেই। আমরা আগেই বলেছিলাম, পেঁয়াজের বাজারে সিন্ডিকেট বলে কিছু নেই। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যাবে। বাস্তবে এখন তাই হয়েছে। উল্টো এখন আমদানিকারকদের লোকসান গুনার অবস্থা। দাম যদি এর থেকে কমে যায়, তবে লোকসান গুনতে হবে। পেঁয়াজের বাজার সবার উন্মুক্ত। বিভিন্ন ব্যবসায়ী বিভিন্নভাবে পেঁয়াজ আমদানি করছেন। আমদানি বাড়ার কারণে এখন দাম কমছে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন দৈনিক আজাদীকে বলেন, পেঁয়াজের বাজার নিয়ে ব্যবসায়ীরা একপ্রকার খেলছেন। এক সপ্তাহে বাজার বাড়ছে তো আরেক সপ্তাহে কমছে। বলা যায়, দাম অস্থিতিশীল। অথচ ভারতীয় পেঁয়াজের বুকিং দর বাড়েনি, পরিবহন ভাড়া বাড়েনি। সব কিছু্‌্‌ই একই থাকার পরেও ব্যবসায়ীরা সুবিধা দাম উঠানামা করছেন। আবার পাইকারীতে দাম কমলেও খুচরা বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়ছে না। শেষ পর্যন্ত ভোক্তারা উপকৃত হচ্ছে না। বিষয়টি মাথা রেখে প্রশাসনের অভিযান চালানো উচিত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসন্দ্বীপে এক ঘণ্টার মধ্যে ৬৪ স্কুলছাত্রী অসুস্থ
পরবর্তী নিবন্ধবেপরোয়া বাসের ধাক্কা, ট্রাফিক কনস্টেবলের মৃত্যু