দুঃসহ গরম, তীব্র যানজট

রমজানে নাগরিক জীবনে চাপ

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৯ এপ্রিল, ২০২২ at ৫:১৮ পূর্বাহ্ণ

প্রচণ্ড গরম, সাথে তীব্র যানজট-স্থবির নগরীতে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। অসহনীয় দুর্ভোগে পথ চলা দায়। মোড়ে মোড়ে পুলিশ আছে। কিন্তু যানজট সামলানোর চেয়ে মোটরসাইকেল আটকের দিকে নজর বেশি থাকায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যানজটে স্থবির থাকে নগরী। সাথে পাল্লা গরমের তীব্রতা বাড়ায় মানুষের ভোগান্তি সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে নগরীর যানজট পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। মোড়ে মোড়ে তৈরি হয়েছে যানজট। ব্যস্ততম মোড়ের পাশাপাশি স্কুল-কলেজ এবং শপিং মলগুলোকে কেন্দ্র করেও তৈরি হয়েছে যানজট। এক-দুই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে এক ঘণ্টা সময় লেগে যাচ্ছে। প্রচুর পুলিশ রাস্তার মোড়ে মোড়ে দায়িত্ব পালন করলেও গাড়ি চলাচল নির্ঝঞ্ঝাট হচ্ছে না। বেলা বাড়ার সাথে সাথে স্থবির হয়ে পড়ে নগরী।
ইফতারের আগে পরিস্থিতি অসহনীয় হয়ে ওঠে। তীব্র যানজটের মাঝে বাড়তি আপদ হিসেবে দেখা দিয়েছে অসহনীয় গরম। গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। গতকাল চট্টগ্রামের তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি বৈশাখ মাসের এই সময়কার স্বাভাবিক তাপমাত্রা। তবে বাতাসের আর্দ্রতা এটাকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো অনুভব করাচ্ছিল। গরমে ওষ্ঠাগত জীবন।
পুলিশ বলছে, রোজার মাঝে ঈদ শপিং ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে মানুষের চলাফেরা বেড়েছে। অনেক মানুষ বাজারে যায়। এর মধ্যে স্কুল-কলেজ খোলা থাকায় বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে। গাড়ির সংখ্যাও প্রতিদিন বাড়ছে। এই অবস্থায় যানজট সামলাতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেন, গরমের ব্যাপারে তো আমাদের কিছু করার নেই। যানজট হচ্ছে, তবে মানুষকে তো রাস্তায় ইফতার করতে হচ্ছে না। পুলিশ নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাহে রমজানের সওগাত
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬