দুঃসময়ে দলের নেতাকর্মীদের আগলে রেখেছিলেন বঙ্গমাতা

বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গতকাল সোমবার থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে খতমে কোরআন, দোয়া, মিলাদ মাহফিল শেষে বিশেষ মোনাজাত এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, সংকট উত্তরণে একজন সহধর্মিনী হিসেবে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব-বঙ্গবন্ধুকে যে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন তা আমাদেরকে ধারণ করতে হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বঙ্গবন্ধুর কারাজীবনের দুঃসময়ে বঙ্গমাতা দলের নেতাকর্মীদের আগলে রেখে দেশের জন্য কাজ করার জন্য প্রাণিত করতেন। আমাদের ভাবতে হবে আন্তর্জাতিক বৈশ্বিক মন্দা ব্যবস্থার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় রক্ষার জন্য বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই বাস্তবতাকে সামনে রেখে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। তবে এই বিদ্যমান পরিস্থিতি সাময়িক। কারণ আমাদের যে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ অর্জন আছে তা অনেকটা অবাক করে দেয়। যারা এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেন তাদের মধ্যে দেশপ্রেম নেই। একটি মহল ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করেন। যারা বিগত দিনে আন্দোলনের নামে লাশ ফেলেছে, পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছে, যারা মসজিদ, মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন উপাসনালয়ে তাণ্ডব চালিয়ে সারাদেশের মানুষকে জিম্মি করেছিল তাদের এদেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। সেই মহলটি আজ আবার অযৌক্তিক কিছু ইস্যু দাঁড় করিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার অর্জন ও সমৃদ্ধি বিনষ্ট করতে বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে, এমনকি ৭৫’র ১৫ আগস্ট ট্র্যাজেডির পুনরাবৃত্তি ঘটানোর জন্য ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের অবশ্যই রাজপথে প্রতিহত করবে। আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভাত ও ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি এবং দেশে আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত করেছি। সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচন হবেই। এ জন্য আমাদের সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। দলীয় নেতাকর্মীদের সোচ্চার হয়ে প্রতিটি এলাকা এবং পাড়া মহল্লায় সার্বক্ষণিক জনগণের পাশে থেকে তাদের শান্তি নিরাপত্তা সুরক্ষা করতে হবে।
চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন, নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, বদিউল আলম, আবদুচ ছালাম, হাসান মাহমুদ শমসের, অ্যাড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, মো. আবু তাহের, বখতিয়ার উদ্দিন খান, জাফর আলম চৌধুরী, মহব্বত আলী খান, ফয়েজ আহমদ, সুলতান আহমেদ চৌধুরী, মোহাম্মদ আবু তাহের, অধ্যাপক আসলাম হোসেন, মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, আবুল বশর, নুরুল আলম, জসিম উদ্দিন, আবদুল মোতালেব চৌধুরী। মোনাজাত পরিচালনা করেন দারুল ফজল মার্কেটের পেশ ইমাম মাওলানা ফজল কবির।