১৯৬৬ সাল হতে টিনের বাক্সে বা বিস্কুটের টিনে ১ টাকা ২ টাকা বা কোনো কোনো সময় পঞ্চাশ পয়সাও জমা হয়েছে। পরে নিজের আয় বাড়ার সাথে সাথে সঞ্চয়ের পরিমাণটাও একটু একটু করে বেড়েছে কাজী মোহাম্মদ আলীর। পেশায় ছিলেন একজন মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ। হাসপাতাল কিংবা চিকিৎসকদের চেম্বার ছিল তার কর্মক্ষেত্র। তিনি খুব কাছে থেকে হতদরিদ্র রোগী ও তাদের স্বজনদের আহাজারি দেখেছেন। তখন থেকেই তাগিদ অনুভব করেছেন কিছু করার। সেই তাগিদ থেকেই সঞ্চয়। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় অতি সাধারণ কাজী মোহাম্মদ আলীর সঞ্চয়টা সমৃদ্ধ হয়েছে ৫০ লক্ষ টাকায়। রোগীকল্যাণ সমিতিতে তার দীর্ঘদিনের সঞ্চয়ের পঞ্চাশ লক্ষ টাকা ক্যাশ ওয়াকফ করে দেন, যার মূনাফা দিয়ে রোগীকল্যাণ সমিতি অনূর্ধ ১৮ বছর বয়সী ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করবে। এই ক্যাশ ওয়াকফ সনদ হস্তান্তর উপলক্ষে রোগীকল্যাণ সমিতি গতকাল ২৭ মার্চ চমেক হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে আয়োজন করে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের। এতে সভাপতিত্ব করেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ও রোগীকল্যাণ সমিতির সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ শামীম আহসান। রোগীকল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে কাজী মোহাম্মদ আলীকে প্রদান করা হয় অনারারি আজীবন সদস্যপদ ও সম্মাননা স্মারক। খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তির।