চট্টগ্রামের আনোয়ারার রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানির লিমিটেডে (সিইউএফএল) সার উৎপাদন শুরু হয়েছে। আজ রোববার ভোর ৪টা থেকে দীর্ঘ ১১ মাস ২০ দিন পর কারখানাটিতে উৎপাদন শুরু হয়।
গ্যাস সংকট ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কারখানাটির উৎপাদন বন্ধ ছিল। এতে কারখানাটি এক বছরে প্রায় ১ হাজার ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
সিইউএফএল সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২২ নভেম্বর কারখানার বয়লারে আগুন লাগার পর ইউরিয়া সার ও অ্যামোনিয়া উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। মেরামত শেষে চার মাস পর গত ২২ মার্চ উৎপাদন শুরু হলেও পাঁচ দিনের মাথায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আবারও বন্ধ হয়ে যায় কারখানাটি।
এরপর যুক্তরাজ্যের একটি বিশেষজ্ঞ দলের তত্বাবধানে মেরামত কাজ করে উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হলেও গত ৫ মে থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে গ্যাস সংকটের কারণে প্লান্টের ক্যাটালিস্ট রিডাকশন প্রকল্পের ট্রায়াল শেষ করতে পারেনি। ট্রায়াল শেষ করতে এক মাস নিরবচ্ছিন্নভাবে ৪২ এমএমসিএফডি গ্যাসের প্রয়োজন ছিল।
কিন্তু গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় ক্যাটালিস্ট রিডেকশনের ট্রায়ালও শেষ করতে পারেনি যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ দলটি।
জানা গেছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ১২ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ পাওয়ার পর উৎপাদন প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করেছিল কর্তৃপক্ষ। পরে ক্যাটালিস্ট রিডাকশনের ট্রায়াল শেষ করতে চলতি মাসের ১৫ অক্টোবর আসে যুক্তরাজ্যের ৪ বিশেষজ্ঞ দল। এরপর ট্রায়াল কাজ শেষে শুক্রবার থেকে পুরোদমে সার উৎপাদন উৎপাদন শুরু করে সিইউএফএল।
কারখানা সচল থাকলে দৈনিক এক হাজার ৪০০ মেট্রিক টন সার উৎপাদন করার কথা। কিন্তু এখন এক হাজার ২০০ মেট্রিক টন সার উৎপাদিত হবে।
সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, গ্যাস সংকট ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কারখানায় ইউরিয়া উৎপাদন প্রায় এক বছর বন্ধ ছিল। গত মাস থেকে গ্যাস পাওয়ার পর প্লান্টের কাজ সফলভাবে শেষ হয়। পরে কারখানায় আজ রবিবার রাত ৪টা থেকে ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হয়েছে। কারখানা দীর্ঘ এক বছর বন্ধ থাকায় প্রায় দুইশ’ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।