দীর্ঘদিন পর বান্দরবানে পর্যটন খোলায় ছুটির দিনে দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠেছে পর্যটন স্পটগুলো। নিষেধাজ্ঞাসহ নানা কারণে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা বাণিজ্যও চাঙ্গা হতে শুরু করেছে পর্যটকদের আগমনে। গতকাল শুক্রবার বান্দরবান জেলার অন্যতম পর্যটন স্পট নীলাচল, মেঘলা, প্রান্তিকলেক, শৈলপ্রপাত ঝর্না, বাংলার দার্জিলিংখ্যাত চিম্বুক পাহাড়, নীলগিরি, বৌদ্ধ টেম্পল দর্শণীয় স্পটগুলোতে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে ভ্রমণকারীদের।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক সায়েমা রহমান, ফারহান, জোবায়ের বলেন, আগেও বহুবার এসেছি বান্দরবান। এবারের ভ্রমণটা অন্যরকম মনে হচ্ছে শীতের শুরুতে। দীর্ঘদিন পর খুলেছে এই অঞ্চলের পর্যটন। বিধিনিষেধের কারণে পর্যটকরা দীর্ঘদিন বেড়াতে আসতে পারেনি, তাই যারা ভ্রমণে এসেছে তাদের মধ্যে উৎফুল্লতা দেখা যাচ্ছে। ভ্রমণের জন্য পর্যটন স্পটগুলো সারাবছর উন্মুক্ত থাকুক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
ট্যুরিস্ট পরিবহন শ্রমিক মোহাম্মদ বাবু বলেন, দীর্ঘদিন পর পর্যটকদের ভিড় দেখা গেল। পর্যটক থাকলে সরব থাকে এখানকার মানুষগুলো। ট্যুরিস্ট গাড়িগুলো মোটামুটি ভাড়া হয়েছে পর্যটকদের আগমনে। বান্দরবান হোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের তৎপরতা, প্রাকৃতিক দূর্যোগসহ নানা কারণে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। পর্যটন খুলে দেয়ায় গকাল শুক্রবার প্রথম ছুটির দিনেই মোটামুটি ভিড় ছিল পর্যটন স্পটগুলোতে। ভ্রাম্যমাণ পর্যটক বেশি থাকলেও কমবেশি পর্যটকের রুম বুকিং হয়েছে হোটেল রিসোর্টগুলো। দর্শণার্থীদের আগমনে ব্যবসা বাণিজ্যও চাঙ্গাভাব দেখা যাচ্ছে। এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও হয়রানি বন্ধে দর্শণীয় স্থানগুলোতে সার্বক্ষণিক কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। প্রশাসন, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সর্বদা কাজ করছে। পর্যটকদের বাড়তি চাপে সড়কের সুশৃঙ্খলায় কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশ।
এ বিষয়ে বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ্ কাওছার বলেন, পর্যটকদের নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করতে মাঠে রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। সবগুলো পর্যটন স্পট এবং দর্শণীয় স্থানগুলোর আশপাশে পুলিশের নজরদারি রয়েছে। নিরাপদে স্বাচ্ছন্দে পর্যটকরা ঘুরে বেড়াচ্ছে পাহাড়ের আনাচে কানাচে।