খাগড়াছড়ির দীঘিনালার কামুক্যাছড়া এলাকা থেকে অপহৃত তিন ব্যক্তি অবশেষে ফিরে এসেছেন। গতকাল বুধবার বিকেলে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তারা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোরশেদুল আলমের আদালতে জবানবন্দি দেন। তবে জবানবন্দিতে তারা অপহরণকারীদের চিনতে পারেননি বলে উল্লেখ করেন। উদ্ধার হওয়া রনজ্যোতি চাকমা বলেন, রোববার দুপুর ১২টায় আমাদের প্রথমে বাঘাইছড়িমুখ এলাকায় যেতে বলা হয়। গাড়ি থেকে নামার পরে ধানক্ষেতের পথ ধরে যেতেই দুই ব্যক্তি আমাদের হাত ও চোখ বেঁধে পাহাড়ে নিয়ে যায়। তবে তারা আমাদের ওপর কোনো অত্যাচার করেনি। খেতে দিয়েছে। এর তিনদিন পর তারা আমাদের ছেড়ে দেয়। অপহরণের শিকার অন্য দুই ব্যক্তি হলেন রাজলক্ষী চাকমা ও প্রভাতচন্দ্র চাকমা।
এর আগে অপহৃত রাজলক্ষ্মী চাকমার স্বামী এবং রনজ্যোতি চাকমার পিতা ধর্মদাশ চাকমা বাদী হয়ে দীঘিনালা থানায় মামলা করেন। মামলায় ইউপিডিএফ নেতা অমর সিন্ধু চাকমাসহ ৫ জনকে আসামি করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন-দানবীর চাকমা, তৃপ্তি রানী চাকমা, সুশীল কুমার চাকমা ও ফণী ভূষণ চাকমা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জমি নিয়ে প্রতিবেশী দানবীর চাকমার সাথে ধর্মদাশ চাকমার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। দানবীর চাকমার স্ত্রী তৃপ্তি রানী চাকমার বড় ভাই ইউপিডিএফ (প্রসীত খীসা) পক্ষের নেতা অমর সিন্ধু চাকমা। রোববার দুপুরে স্থানীয় কার্বারী প্রণয় চাকমার ফোনের মাধ্যমে ধর্মদাশ চাকমার স্ত্রী, ছেলে ও এক প্রতিবেশীকে বাঘাইছড়ি মুখ এলাকায় ডেকে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকেই অপহৃত হন তারা। অপহরণের পর স্ত্রী, ছেলে ও প্রতিবেশীকে খুন করার হুমকিও দেয়া হয়। দীঘিনালা থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব বলেন, অপহৃতরা ফিরে এসেছেন। অপহরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।