চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরী হত্যা মামলা পুনঃতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট–২ এর বিচারক আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সিনিয়র এসপি বা অতিরিক্ত এসপি পদ পর্যাদার কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্ত করাতে বলা হয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন ও দিয়াজের মা মামলার বাদী জাহেদা আমিন চৌধুরীর নারাজি আবেদনের উপর শুনানি শেষে বিচারক এই আদেশ দেন।
জেলা পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সিআইডি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে মামলার বাদী তাতে নারাজি আবেদন দাখিল করেন। এ বিষয়ে আজকে (গতকাল) শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। শুনানি শেষে বাদীর নারাজি আবেদনটি গ্রহণ করে মামলাটি পিবিআইকে পুনঃতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আলোচিত দিয়াজ হত্যা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে সিআইডি। প্রায় ছয় বছর ধরে তদন্ত করে তৈরীকৃত চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, দিয়াজ আত্মহত্যা করেছেন।
এর আগে ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দক্ষিণ ক্যাম্পাসে থাকা নিজের বাসা থেকে দিয়াজ ইরফানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদকের পাশাপাশি দিয়াজ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ–সম্পাদকও ছিলেন। এ ঘটনায় হাটহাজারী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, দিয়াজ আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু তার পরিবারের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নির্মাণ কাজের দরপত্রকে নিয়ে কোন্দলের সূত্র ধরে দিয়াজকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দিয়াজের মা আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি আলমগীর টিপু, সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা জামশেদুল আলম চৌধুরী, রাশেদুল আলম জিশান, আবু তোরাব পরশ, মনসুর আলম, আবদুল মালেক, মিজানুর রহমান, আরিফুল হক অপু ও মোহাম্মদ আরমানকে আসামি করা হয়।