দিল্লির আদালতে গুলি, নিহত ৩

| শনিবার , ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৮:৪৮ পূর্বাহ্ণ

ভারতের দিল্লির একটি আদালতের ভেতরে দুই পক্ষের গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। গতকাল শুক্রবার উত্তর দিল্লির রোহিণী আদালত কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, কুখ্যাত সন্ত্রাসী জিতেন্দ্র ওরফ গোগীকে দুপুরে দিল্লির রোহিণী আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ। ২০৬ নম্বর কোর্টে তার শুনানি চলছিল। এ সময় গোগীর বিরোধী গোষ্ঠী টিল্লুর গ্যাংয়ের দুজন সদস্য আইনজীবীর পোশাকে আদালতে প্রবেশ করেন। আদালত কক্ষের কাছে গিয়ে গোগীর ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায় তারা। গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন গোগী। এ সময় পুলিশের পাল্টা পুলিশের হামলাকারীদের দুজন নিহত হয়েছেন। খবর বাংলানিউজের।
এ ঘটনায় প্রকাশিত একটি ভিডিও দেখা যায়, একই কক্ষের বাইরে থেকে ভেতরে গুলি ছুড়ছেন পুলিশের এক সদস্য। এ সময় অনেকে দৌড়াদৌড়ি করছেন।
কে এই গোগী : ২০২০ সালে গোগীকে মহারাষ্ট্র থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি ছাড়াও ডাকাতি ও গাড়ি চুরির মামলা চলছিল।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রদ্ধানন্দ কলেজের ছাত্র ছিলেন গোগী। সেখানে পড়ার সময় খুনের ঘটনায় জড়িয়ে যায় তার নাম। কলেজ ভোটের সময় প্রতিহিংসায় সুনীলের এক বন্ধুকে গোগী খুন করেন। তারপর থেকেই গোগীর সঙ্গে সুনীলের দ্বন্‌দ্ব শুরু হয়। শ্রদ্ধানন্দ কলেজের ঘটনাটি ২০১০ সালের। এক বছর পরই গ্রেপ্তার হন গোগী। ততদিনে তার এক সময়ের বন্ধু সুনীল ওরফে টিল্লুকে খুন করেন গোগী। শুক্রবার সেই টিল্লুর দলই গোগীকে খুন করেন বলে জানায় পুলিশ।
২০১১ সালে ২০ বছর বয়সে পুরোপুরি অপরাধ জগতে ঢুকে পড়েন গোগী। চাঁদাবাজি, খুন, ডাকাতিসহ নানা অভিযোগ ওঠে তার নামে। গোগীর সন্ত্রাসী দল জড়িয়ে যায় গাড়ি অপহরণে। এ সময় কেউ বাধা দিলে তাকে মেরে ফেলাই ছিল তাদের নীতি। ভারতের হরিয়ানার লোকগায়িকা হর্ষিতা দাহিয়া, আরএক গ্যাংস্টার বীরেন্দ্র মান ও আঁচল ঠাকুর নামের বিরোধী গ্রুপের একজনকে খুন করেন গোগী ও তার গ্রুপের সদস্যরা। একের পর এক খুন করেই চলছিল গোগীর দল। তারপরও পুলিশ তাদের ধরতে পারেনি। দিল্লির এক বিখ্যাত ক্যাফেতে বসে নিজের ছবি পোস্ট করেছিলেন গোগী। সেই ছবি দেখেই ২০২০ সালে তাকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ। তখন গোগীর মাথার দাম ছিল ১০ লাখ টাকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রথম সাক্ষাতে কমলা হ্যারিসে মুগ্ধ মোদী
পরবর্তী নিবন্ধআবারও একসঙ্গে রিয়েলিটি শোয়ে পবনদীপ-অরুণিতা!