‘দিন যায় কথা থাকে…’ কণ্ঠে তুলেছিলেন তিনি। প্রকৃতির নিয়মে দিন, মাস আর বছরও চলে যায়, কিন্তু রয়ে গেছে তার কথা, সুর ও গায়কী। তিনি সুবীর নন্দী। গতকাল মঙ্গলবার ছিল তার জন্মদিন। ১৯৫৩ সালের এই দিনে হবিগঞ্জের তেলিয়াপাড়া চা বাগানে, মেডিক্যাল অফিসার সুধাংশু নন্দী ও পুতুল রানী দম্পতির ঘরে সুবীর নন্দীর জন্ম হয়। বেঁচে থাকলে জীবনের ৭১ বছরে পা রাখতেন তিনি। খবর বাংলানিউজের।
মায়ের কাছেই ৭–৮ বছরে সংগীতের হাতেখড়ি হয় তার। পড়াশোনা শেষে দীর্ঘদিন ব্যাংকে চাকরিও করেন সুবীর নন্দী। তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’ বাজারে আসে ১৯৮১ সালে। তবে তিনি প্রথম গান করেন ১৯৭৬ সালে আবদুস সামাদ পরিচালিত ‘সূর্যগ্রহণ’ চলচ্চিত্রে।
আধুনিক সংগীতের পাশাপাশি তিনি শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন শাস্ত্রীয় সংগীত, ভজন, কীর্তন এবং পল্লীগীতিতেও। নিজের ভালোলাগার নজরুলসংগীতেও আবেশ ছড়িয়েছেন সুবীর নন্দী। দীর্ঘ ৪০ বছরের ক্যারিয়ারে কিংবদন্তি গেয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি গান। বেতার থেকে টেলিভিশন, তারপর চলচ্চিত্রেও উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান।
চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেই সুবীর নন্দী পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। বাংলা সংগীতাঙ্গনে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ভূষিত হন একুশে পদকেও। ২০১৯ সালের ৭ মে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুবীর নন্দীর জীবনাবসান হয়। কিংবদন্তির প্রস্থান বাংলা সুরের জগতে পূরণ হবার নয়।