দিনের শুরুটা যেভাবে হয় আমার

মাহমুদা খানম | শুক্রবার , ৫ জুলাই, ২০২৪ at ৭:০৬ পূর্বাহ্ণ

ছোটবেলায় চা খেতে পেতাম শুধু জ্বর হলে, পরোটা বা পাউরুটির সাথে আদা চা। নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আকর্ষণ বেশি তাই চায়ের লোভে বৃষ্টিতে ভিজে চেষ্টা করতাম যেন জ্বর আসে। কিসের কি শরীরটা এত মজবুত ছিল জ্বর তো আসতই না মধ্যখানে কপালে জুটতো মায়ের বকুনি। নিয়মিত চা খাওয়া শুরু হোল এসএসসি পরীক্ষার আগে, রাত জেগে পড়ার জন্য। সবার দেখতাম চা খেলে ঘুম আসেনা আর আমার সব উল্টাপাল্টা, রাত দশটা বাজতেই ঘুমে চোখ ঢুলুঢুলু। আমি পড়তাম ভোর রাতে বিস্কিট সহযোগে এক কাপ চা খেয়ে। বিয়ের পর দেখি রফিক চা খায়না।একলা চা খেতে তখন কী আর ভালো লাগে।আমার পাল্লায় পড়ে শুরু করলো চা খাওয়া। দুধ চিনি দিয়ে সোনালি চা, জমে উঠতো দুজনের আড্ডা, কখনও খাওয়ার টেবিলে কখনও বারান্দায়। রফিক চলে গেল ১৯৯৪ এ। মেয়েরাও ব্যস্ত যার যার সংসার আর চাকুরি নিয়ে। এখন আমার একলা জীবন। জীবন বদলের সাথে বদলে গেছে চায়ের রঙ। সোনালীর বদলেএখন সকালে খাই এক কাপ কাল (নাকি লাল বলব) আর বিকেলে সবুজ চা।

এখন সকাল শুরু হয় ফজরের নামাজ পড়ে। নামাজের পর ৩০/৩৫ মিনিট হাঁটাহাঁটি এরপর একটু চোখ বোলাই মোবাইলে আর টেলিভিশনের পর্দায়। সারাদিন যাই খাই না কেন দিনের প্রথম খাবারটা খুব উপভোগ করি। লাল আটার রুটি, একটুকরা মুরগির মাংস আর একটা ডিমপোচ এরপর এলাচি, লং আর আদা দিয়ে এক কাপ চা। বাহ! নিমিষেই হয়ে যাই চাঙা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবৃষ্টি নেমেছে আমার শহরে
পরবর্তী নিবন্ধপ্রিয় নবীর (সা.) প্রাণের শহর মদিনা মুনাওয়ারা