বহিরাগতদের দাপটে রীতিমত অসহায় হয়ে পড়েছে রেলওয়ের স্টাফ কলোনীতে বসবাসকারীরা। দখলদারিত্বে দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তারা। যেখানেই রেলওয়ে কলোনি বা তার আশে পাশে খালি জায়গা পাচ্ছে সেখানেই দখল কায়েম করছে তারা। আগে রাতের বেলায় করলেও এখন দিনদুপুরে করছে। কলোনীর কোন লোকজন প্রতিবাদ করলে তাকে নাজেহাল কিংবা হামলার শিকার হতে হচ্ছে। গতকাল পাহাড়তলীস্থ রেলওয়ে এক্সিয়ান কলোনিতে দিন দুপুরে বহিরাগত সন্ত্রাসী সোহেল লোকবল নিয়ে ঘর তুলতে গেলে স্থানীয়রা রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের খবর দেয়। এসময় আরএনবির লোকজন এসে সোহেলকে ধরে নিয়ে যায় এবং ঘর ভেঙে দেয়। পরে কলোনিতে আর ঘর করবে না বলে মুছলেখা দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এর আগে সোহেলকে আরএনবির সদস্যরা গ্রেপ্তার করলে তার ভাই সন্ধ্যায় দলবল নিয়ে কলোনিতে এসে শো ডাউন করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এই ব্যাপারে কলোনির দায়িত্বপ্রাপ্ত রেলওয়ের উর্ধতন উপসহকারী প্রকৌশলী আমির হোসেন আজাদীকে জানান, পাহাড়তলীস্থ রেলওয়ে এঙিয়ান কলোনির ৬ নম্বর লেইনে সোহেল নামে বহিরাগত একজন এসে ঘর করতে আসলে আরএনবির সদস্যরা এসে তাকে ধরে নিয়ে যায়। ঘরগুলো ভেঙে দেয়া হয়। সন্ধ্যার দিকে ঐখানে আবার সমস্যা হয়েছে বলে আমি শুনেছি। আমি একজন লোক পাঠিয়েছি।
টাহগারপাস, পলোগ্রাউন্ড এবং আমবাগান এলাকায় বসবাসরত রেলওয়ের একাধিক স্টাফ নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীদের চাপের মুখে অপরাধীদের আবার ছেড়ে দিতে হচ্ছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের। এটা শুধু পাহাড়তলী এঙিয়ান কলোনির চিত্র নয়, নগরীর টাইগারপাস কলোনী, পলোগ্রাউন্ড কলোনি, ফ্লোরাপাস কলোনি, স্টেশন কলোনি, সিআরবি কলোনি, হাসপাতাল কলোনি, লালখান বাজার কলোনি, ফ্রান্সেস রোড কলোনি, আমবাগান, পাহাড়তলীসহ রেলওয়ের সবগুলো কলোনির চিত্র। সন্ত্রাসীদের দাপটে কলোনিতে বসবাসকারীরা প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হচ্ছে, অথবা ভয়ে মুখ বুজে সহ্য করছে।