পটিয়ায় ইসলামী ব্যাংকে বিশেষ দক্ষতা মূল্যায়ন পরীক্ষা পরবর্তী পরীক্ষায় অংশ না নেওয়া কর্মচারীদের হেড অফিস থেকে কোড নম্বর বন্ধ করা নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ ঘটনায় গতকাল রবিবার এসব কর্মচারী ছাড়াও কর্মচারীদের স্বজন ও স্থানীয় বিক্ষুব্ধরা ব্যাংকের ভিতরে ও বাইরে সকাল থেকে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে শত শত মানুষ জড়ো হয়ে ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
এরপর পটিয়া থানার ওসির নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষুব্ধ জনতার ওপর লাঠিচার্জ করেন। এসময় জনতার সাথে পুলিশের কয়েক দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের লাঠিচার্জে ৭জন আহত হন। আহতরা হলেন, ওবায়দুল হক রিকু (৩৮), রিপন (৩৬), মামুন সিকদার (৪৯), সোহেল (৪২), মনসুর (৪২), আবুল কাসেম (১৬) ও মো. সুমন (৩৩)। আহতদের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ ঘটনায় বিকেল ৪টার দিকে পটিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই মো: ফরহাদ স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে গেলে স্থানীয় বিক্ষুদ্ধ জনতা উত্তেজিত হয়ে তাকে ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান দেয়। এসময় তিনি একটি অটোরিঙায় উঠে দ্রুত হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
কয়েকজন ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, সকালে ব্যাংকের কর্মকর্তারা কাজে যোগ দিতে গেলে তাদের কাজে বাঁধা দেয় কর্তৃপক্ষ। এসময় ব্যাংকারদের পাশে স্থানীয়রা ও ব্যাংকের বিভিন্ন গ্রাহক দাঁড়িয়ে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে জনতা ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ করে দিয়ে মূল গেইটে তালা ঝুঁলিয়ে দেন।
খবর পেয়ে পটিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দফায় দফায় লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় ব্যাংকের ভেতরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ পরিস্থিতিতে ব্যাংকে সারাদিন প্রায় লেনদেন বন্ধ থাকে। ভিতর থেকে ব্যাংকের প্রধান গেইটে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়।
পটিয়া থানার ওসি মো: নুরুজ্জামান জানান, ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ করে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি এবং কিছু লোক এলাকায় বিশৃঙ্খল করলে মানুষের জানমাল রক্ষায় উচ্ছৃংখল কিছু মানুষকে লাঠিচার্জ করা হয়েছে। এর বাইরে অন্যকিছু এ মুহুর্তে বলা সম্ভব নয়।
ইসলামী ব্যাংক পটিয়া শাখার ব্যবস্থাপক মো: আবদুস ছালেক জানান, ব্যাংক শুরুর প্রথম একঘণ্টা স্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে। এরপর ঝামেলার কারণে দিনভর ব্যাংক কার্যক্রম বন্ধ থাকে। ব্যাংকের মূল্যায়ন পরীক্ষায় যারা অংশগ্রহণ করেননি, তাদের আইডি সেন্ট্রালি বন্ধ রাখা হয়েছে। যার কারণে আসলে তাদের কাজ করারও কোনো সুযোগ ছিল না।