বঙ্গোপসাগরের গভীরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ দুর্বল হয়ে এখন নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। নিম্নচাপটি ভারতীয় উপকূল ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে বৃষ্টি ঝরিয়ে আরো দুর্বল হয়ে মিলিয়ে যেতে শুরু করেছে। নিম্নচাপের প্রভাবে সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামেও দিনভর বৃষ্টি হয়েছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে গতকাল সোমবার জনজীবন হয়ে পড়ে বিপর্যস্ত। প্রয়োজনে যারা ঘরের বাইরে গিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে তাদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। বিশেষ করে দুর্ভোগে পড়েছেন এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও নগরীর টিকাকেন্দ্রগুলোতে কোভিড টিকা নিতে আসা লোকজন।
লঘুচাপের কারণে চট্টগ্রামসহ দেশের চারটি সমুদ্র বন্দরকে ৩নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং চট্টগ্রাম নদী বন্দরকে ১ নম্বর নৌ সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। চট্টগ্রামে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় ৮১.৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস। একই সময়ে আমবাগান আবহাওয়া অফিস ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে বলে জানিয়েছেন অফিসের পর্যবেক্ষণ মো. ইউসুফ। এদিকে লঘুচাপ চলে যাওয়ার পর পশ্চিমা বায়ুর কারণে তাপমাত্রা কমে আসলে ধীরে ধীরে শীত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়াবিদরা।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের সোমবার সন্ধ্যা ৬ টার স্থানীয় পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের আকাশ মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। সেই সাথে অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে কিছু কিছু জায়গায় মাঝারি ধরণের ভারী থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কি. মি. বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। গতকাল চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া ও ভূ-প্রাকৃতিক কেন্দ্রের উপ-পরিচালক সৈয়দ আবুল হাসানাৎ দৈনিক আজাদীকে বলেন, নিম্নচাপের কারণে চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে এটি স্বাভাবিক হয়ে আসতে পারে। তাছাড়া লঘুচাপ চলে যাওয়ার পর পশ্চিমা বায়ু আসা শুরু করবে। তখন তাপমাত্রা কমতে থাকবে। এতে ধীরে ধীরে শীতের প্রকোপ নামবে। তবে তাপমাত্রা ১৫ এর নিচে না নামলে শীতের তীব্রতা তেমন অনুভূত হবে না বলে জানান এ কর্মকর্তা।