নিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়ার দাবিতে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ক্লাস বর্জন করে দিনভর বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে কর্মবিরতি পালন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। আন্দোলনে অংশ নেন শিক্ষকরাও। গতকাল বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসের শহিদ মিনার থেকে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা–কর্মচারীরা মিছিল বের করেন। এর আগে সকাল ১০টা থেকে ক্লাস–পরীক্ষা বর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থী–কর্মচারীদের এই আন্দোলনে কার্যত অচল ছিল সিভাসু ক্যাম্পাস। এসময় আগামী ৪ কর্মদিবসের মধ্যে দাবি না মানলে ক্যাম্পাসে শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণার হুশিয়ারিও দেয় শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে আমরা প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। যাতে তারা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগ দেয়। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষককে যেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ না দেন। আমরা ইতোমধ্যে অবগত হয়েছি, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত এক শিক্ষককে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। শিক্ষার্থীরা কখনোই তা হতে দিবে না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক যোগ্য শিক্ষক আছেন, যারা একাডেমিক ও গবেষণার দিক থেকে দেশ–বিদেশে খ্যাতি অর্জন করেছেন। তাদের বাদ দিয়ে কেন বাহিরের একজন শিক্ষককে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে?
সিভাসুর এক কর্মকর্তা বলেন, নিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য হলে সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উপকার। বাইরের কেউ উপাচার্য হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অনেক কিছুই বুঝে উঠতে পারেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগে একবার বাইরের উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, যার আমলে সামগ্রিক কোনো উন্নয়ন হয়নি। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান, ছাত্র–ছাত্রীদের অধিকারসহ সার্বিক সুবিধার্থে একজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার দাবি রইল।