চট্টগ্রামে হিমশীতল হাওয়ার ঝাপ্টায় শীতের অনূভুতি বাড়িয়েছে কয়েকগুণ। এছাড়া দিনভর দেখা মেলেনি সূর্যের। এরইমাঝে শ্রমজীবীদের কাজে ছুটতে হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় রাস্তাঘাটে বিড়ম্বনা একটু কম ছিল। বিনোদন কেন্দ্রগুলোতেও দর্শনার্থীর আনাগোনা ছিল একেবারেই কম। অন্যদিকে রাস্তার ধারে ভাসমান মানুষকে ডিম্বাকৃতি হয়ে জবুথবু অবস্থায় বসে থাকতে দেখা যায়। নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ ছিল বেশি।
আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা জানান, আজ শীতের তীব্রতা কিছুটা বাড়বে। আকাশ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। দুপুরের পর সূর্যের দেখা মিলতে পারে। এদিকে শীতের কারণে শিশু ও বয়স্করা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন। নিউমোনিয়া ও ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালগুলোতে সম্প্রতি শীতজনিত (রোটা ভাইরাস) ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শীতের তীব্রতা বাড়লে রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া রোগীর প্রকোপ বাড়ে। সাধারণত শিশুরা এতে বেশি আক্রান্ত হয়। যেহেতু এটা এক ধরনের ডায়রিয়া তাই বিশুদ্ধ পানি পানের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এছাড়া এই সময়টা ‘কমন কোল্ড’ বা সাধারণ সর্দি জ্বরের মৌসুম। তবে এই সময়ের জ্বরকে অনেকে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভেবে ভুল করে থাকেন। তাই শীতে সবাইকে একটু সাবধানেই চলাফেরা করতে হবে। গরম কাপড় চোপড় সাথে রাখতে হবে। বৃষ্টি হলে অবশ্যই ছাতা রাখতে হবে।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ জহিরুল ইসলাম দৈনিক আজাদীকে বলেন, আগামীকাল (আজ) চট্টগ্রামে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও বাতাসের কারণে শীতের অনুভূতি বাড়বে।
চাকরিজীবী ফরিদ উদ্দিন বলেন, গত ক’দিন যাবত শীতের মাত্রা বেড়েছে। ভাগ্য ভালো আজ (গতকাল) অফিস আদালত বন্ধ। না হলে আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হতো। তারপরেও বিড়ম্বনা হয়নি বলা যাবে না। সপ্তাহের এই একটা দিন সবাই পরিবার নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে বের হয়। কিন্তু শীতের বাধায় অনেকে ঘরে বসে সময় পার করতে বাধ্য হন।
অন্যদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ায় মার্কেটগুলোতে বেড়েছে শীতের কাপড় বিক্রি। গতকাল সবচেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে নগরীর জহুর হকার্স মার্কেটে। এই মার্কেটে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ গরম কাপড় কেনার জন্য ভিড় করেন। জানতে চাইলে জহুর হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী মো. ফজলুল আমিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, গত দুইদিন জহুর মার্কেটে শীতের কাপড়ের বিক্রি বেড়েছে। কারণ শীতের কাপড়ের ব্যবসাটাই মৌসুমী ব্যবসা। তাই শীতের মাত্রা বাড়লে ব্যবসাটা কিছুটা জমে।