অবশেষে জ্যৈষ্ঠের তাপদাহ থেকে মুক্তি পেয়েছে নগরবাসী। গতকাল দিনভর থেমে থেমে হওয়া হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমেছে নগরের। এতে কমেছে গরমের অনুভূতি। তবে দিনভর বৃষ্টি হওয়ায় ভোগান্তিও কম ছিল না পথচারীদের। এছাড়া কয়েক জায়গায় জলজটের দুর্ভোগও ছিল।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, গতকাল বিকেল ৩টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া গতকাল নগরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যটন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানায়, আকাশ মেঘলা থেকে সাময়িকভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। সে সাথে অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে কিছু জায়গায় মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের জন্য ৩নং স্থানীয় সর্তক সংকেত ও নৌ–বন্দরের জন্য ১ নং নৌ–সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আগারগাঁও আবহাওয়া অফিসের সতর্কবর্তায় বলা হয়, উত্তর–পূর্ববঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘণীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চরণশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমী বায়ু চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে।
এদিকে আগের দিনের ন্যায় গতকালও ওয়াসা, কাতালগঞ্জ, চকবাজারসহ কয়েকটি নিচু এলাকায় জলযট ছিল। মাগরিবের পরও পশ্চিম বাকলিয়া ডিসি রোড, কাজী অফিস, জামাল বিল্ডিং এর সামনে গোড়ালি সমান পানি জমে ছিল। গতকাল রাত সাড়ে ৭টার দিকে চকবাজার আধুনিক চক সুপার মার্কেটের পুর্ব পাশের সড়কে পানি ছিল বলে স্থানীয়রা জানান।