দায় স্বীকার করে বাঁশখালীর এসি ল্যান্ডের চেইনম্যানের জবানবন্দি

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১২ নভেম্বর, ২০২১ at ৪:৪৩ পূর্বাহ্ণ

জেলা প্রশাসনের এলএ (ভূমি অধিগ্রহণ) শাখা থেকে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ক্ষতিপূরণের ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ চেষ্টা মামলায় দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বাঁশখালীর এসি ল্যান্ডের চেইনম্যান নেজামুল করিম। গতকাল বৃহস্পতিবার মহানগর হাকিম সরোয়ার জাহানের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। আদালতের প্রসিকিউশন শাখার সূত্র আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সূত্র জানায়, রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হলে ঘটনার সাথে নিজের সম্পৃক্ততা রয়েছে মর্মে স্বেচ্ছায় নেজামুল করিম এ জবানবন্দি দেন। এর আগে গত বুধবার মামলার প্রধান আসামি জোহুরাও দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ক্ষতিপূরণের ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ চেষ্টা হয়েছে, এমন অভিযোগে গত ৮ নভেম্বর জেলা প্রশাসনের অফিস সহকারী মো. আনোয়ার হোসেন একটি মামলা করেন। কোতোয়ালী থানা পুলিশ মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে জোহুরা, তার বাবা ও উখিয়ার বাসিন্দা উসমান গণি ও বাঁশখালীর এসি ল্যান্ডের চেইনম্যান নেজামুল করিমকে সেদিনই কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। গত মঙ্গলবার ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে এলএ শাখার সার্ভেয়ার খাজা উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এখন দুই দিনের রিমান্ডে পুলিশ হেফাজতে আছেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, জোহুরা মূলত, পটিয়ার ডাঙ্গারচরের ডাবল পাইপ লাইন প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ হওয়া ৭৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ জমির রেজিস্টার্ড পাওয়ার অব অ্যাটর্নি মূলে ক্ষতিপূরণ চেয়ে এলএ শাখায় একটি আবেদন করেন। সকল প্রকার যাছাই বাচাই শেষে তার নামে একটি এলএ চেক ইস্যুও করা হয়। কিন্তু জোহুরা যমুনা ব্যাংক, জুবলী রোড শাখার পরিবর্তে রুপালী ব্যাংক টেরী বাজারে চেক ইস্যু করতে আবেদন করলে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা পাওয়ার দাতাদের পরিচয় ও তার সাথে উক্ত ব্যক্তিদের সম্পর্কের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি অসংলগ্ন উত্তর দেন। তিনি বলেন, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দাতাদের তিনি চেনেন না। তার স্বামী মূলত তার পক্ষে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিল সম্পাদন করেন। একপর্যায়ে তার স্বামীর সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন- স্বামী প্রবাসী, দুইমাস ধরে তার সাথে কোন যোগাযোগ নেই।
পরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে লোক মারফত উক্ত পাওয়ার দাতাদের সম্পর্কে অনুসন্ধান করা হয়। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিলে বর্ণিত ঠিকানায় আবুল কালাম শামসুদ্দিন ও আবু হেনা মোস্তফা কামাল নামের দুইজন লোকের সন্ধান পাওয়া যায়। তারা উভয়েই জানান, তারা জোহুরা নামের কাউকে জমির ক্ষতিপূরণ টাকা উত্তোলনের জন্য কোন প্রকা ক্ষমতা অর্পণ করেননি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাড়ে ৭ লাখ টাকায় বিক্রি এক জোড়া কালো পোয়া মাছ
পরবর্তী নিবন্ধভোট দিয়ে ফেরার পথে লরির ধাক্কায় মৃত্যু