দায়িত্ববোধ নিয়ে ইনিংস বড় করার কথা ভাবছেন তানজিদ

স্পোর্টস ডেস্ক | মঙ্গলবার , ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ১১:১০ পূর্বাহ্ণ

এ বছর মানে ২০২৪ সালে এখন অবধি চারটি ওয়ানডে খেলেছেন তানজিদ হাসান তামিম। এর মধ্যে প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে চট্টগ্রামে ৮১ বলে ৮৪ রান করেন। এরপর এ বছর আরও তিনটি ওয়ানডেতে যথাক্রমে ৩, ২২ ও ১৯ রান করে আউট হন তিনি। এটি যেন একরকম তার ক্যারিয়ারের প্রতিচ্ছবিই। শুরুটা ভালো করার পর হুট করেই বাজে শট খেলে আউট হয়ে যান তিনি। দল বিপদে পড়ে, ব্যক্তিগত ইনিংসও লম্বা হয় না। এ কথাটি মনে করিয়ে দেওয়ার পর সোমবার মিরপুরে সাংবাদিকের প্রশ্নের সঙ্গে একমত হন তিনি। তানজিদ বলেন, ‘আসলে দেখেন, যেটা বলছেন আমি এটার সঙ্গে একমত পোষণ করি। এখানে আমার ব্যক্তিগতভাবে যেটা মনে হয়, আরেকটু দায়িত্ববোধ বাড়াতে হবে। কারণ বেশিরভাগ ইনিংস আমি ভালো শুরু করেছি, ওখান থেকে ক্যারি করতে পারি নাই। এখন থেকে আমি চেষ্টা থাকবে আমি যদি ইনিংসে ভালো শুরু করি, সেখান থেকে দায়িত্ববোধ নিয়ে কীভাবে ইনিংসটা বড় করবো। আমার ব্যাক অব দ্য মাইন্ডএকটা জিনিস আমি মনে করি এটা আসলে একটা মানসিক ব্যাপার। আমি যদি ভালো গেম প্ল্যান নিয়ে নামতে পারি এবং ভালো শুরু করার পর যদি ইনিংসটা ক্যারি করতে পারি। আশা করি যে এখান থেকে আরও ভালো হওয়া সম্ভব।’ ক্রিকেটাররা প্রায়ই নিজেদের মানসিকতার কথা বলেন। তবে অনেক সময় প্রশ্ন উঠে তাদের স্কিলের ঘাটতি নিয়েও। স্কিলের ঘাটতির কথাও মেনে নিয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্দেশে উড়াল দেওয়ার আগে তিনি বলছেন, মানসিক ব্যাপারটাই বড় হয়ে দাঁড়ায় শেষ অবধি। তানজিদ বলেন, ‘আসলে দেখেন আমি যেসব শট খেলে আউট হয়েছি। আমার কাছে মনে হয় মানসিক জিনিসটাই বেশি মেটার করে এখানে। আমার মতে স্কিলের অনেক দিকেই ঘাটতি থাকতে পারে। সে জিনিসটা তো আমরা নিয়মিত কাজ করেই যাচ্ছি। এই দুইটার কম্বিনেশন যদি ভালো হয় তাহলে ইনিংসটা বড় হওয়া সম্ভব।’ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে একদমই ভালো করতে পারছে না বাংলাদেশ। ওই কন্ডিশন সবসময়ই কঠিন তাদের জন্য। এ অবস্থায় ওয়ানডে খেলতে গতকাল সোমবার রাতে উড়াল দিয়েছেন তানজিদ তামিমরা। এর আগে জানিয়েছেন নিজেদের প্রত্যাশা। এই ওপেনার বলেন, ‘প্রত্যাশা তো সবসময় থাকে ভালো কিছু করার। আমি মনে করি যে যদি আমরা ভালো শুরু করতে পারি। প্রথম ম্যাচটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যদি একটা জয় দিয়ে শুরু করতে পারি তাহলে এই ফ্লোটা সিরিজ শেষে বুঝতে পারবো কোথায় যাচ্ছে।’ ‘সব সিরিজেই শুরুটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু ওখানে অনেকে টেস্ট খেলছে। তারা কন্ডিশন সম্পর্কে অনেক ভালো জানে। ওখানে আমাদের একটা অনুশীলন সেশন আছে, ওখানে গেলে বুঝতে পারবো কী রকম চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। এসব চ্যালেঞ্জ আমাদের কীভাবে ফেস করতে হবে। এর আগেও ওখানে বিশ্বকাপ খেলেছি আমরা। ভালো করারই লক্ষ্য থাকবে। চেষ্টা করবো যেন শুরুটা ভালো করতে পারি। ’

পূর্ববর্তী নিবন্ধইনিংস আরও বড় করতে না পারার আক্ষেপ সাদমানের
পরবর্তী নিবন্ধবিপিএলের জন্য বিগ ব্যাশে খেলা হচ্ছে না রিশাদের