করোনা অতিমারির নতুন প্রকরণ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাব ও সংক্রমণ আধিক্য বিশ্ববাসীকে করে তুলছে প্রচণ্ড উদ্বিগ্ন এবং শঙ্কিত। তৃতীয় ঢেউয়ের তাণ্ডব মোকাবেলার উদ্দেশ্যে জনঅধ্যুষিত ক্ষুদ্রায়তনের বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় দেশই কার্যকর পরিকল্পনা ও কর্মকৌশল নির্ধারণে ব্যতিব্যস্ত। এই দু:সময়েও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন মাতৃভূমির যুগান্তকারী অর্জন দেশবাসীকে অপরিমেয় আনন্দে উদ্বেলিত করছে। বিশ্বকবি রবীঠাকুরের ‘হতভাগ্যের গান’র কয়েকটি পংক্তি উপস্থাপন করে দেশের গৌরবোজ্জ্বল অবস্থানকে নন্দিত করতে চাই – ‘কিসের তরে অশ্রু ঝরে, কিসের লাগি দীর্ঘশ্বাস?/ হাস্যমুখে অদৃষ্টেরে করব মোরা পরিহাস।/ রিক্ত যারা সর্বহারা সর্বজয়ী বিশ্বে তারা,/ গর্বময়ী ভাগ্যদেবীর নয়কো তারা ক্রীতদাস।/ হাস্যমুখে অদৃষ্টেরে করব মোরা পরিহাস॥’ দেশবাসী সম্যক অবগত আছেন ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩ সাল সুনামগঞ্জে অনুষ্ঠিত জনসভায় বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণে বলেছিলেন, ‘শহীদানের আত্মা শান্তি পাবে না যদি না দেশের সকল মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে না পারে। বঙ্গবন্ধু আরোও বলেন, ‘আমি চাই সোনার বাংলা, আমার সোনার মানুষ। সোনার মানুষ যেন সোনার বাংলায় পয়দা হয়। সোনার মানুষ না হলে সোনার বাংলা আমি গড়তে পারবো না। আমার স্বপ্ন নষ্ট হয়ে যাবে।…. ক্ষমতার মোহে যেন মানুষ পাগল না হয়ে যায়। মানুষকে যেন মানুষ ভালবাসে এবং মানুষের ভালবাসার মতো অতো বড় জিনিস আর দুনিয়ায় কিছুই হয় না।’ প্রাসঙ্গিকতায় এটুকু দৃঢ়চিত্তে বলা যায় ইতিমধ্যে অনেকাংশে দেশের সক্ষমতা বহি:প্রকাশে বঙ্গবন্ধুর কাঙ্ক্ষিত সোনার মানুষ সৃজনে বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র সার্থক হয়েছে।
চলতি বছরের মার্চ মাসে মুজিব শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সফরে বিভিন্ন চুক্তি সম্পাদনের পর্যায়ে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে ঋণ সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দেয়। ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্যে বিকশিত পর্যটন শিল্প শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির প্রধান বাহন হিসেবে সুপরিচিত। করোনার ভয়াবহতায় প্রায় পর্যুদস্ত এই শিল্প এবং দীর্ঘ গৃহযুদ্ধে ক্ষত-বিক্ষত দক্ষিণ এশিয়ায় বন্ধু প্রতিম এই দেশটি বৈদেশিক মুদ্রার গভীর সংকটে আবর্তিত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মুদ্রা বিনিময় ব্যবস্থার আওতায় দেশটিকে ২০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ। অতিসম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি কলেজের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. ডেভিড ব্রিউস্টার রচিত ‘অ ৎরংরহম ইধহমষধফবংয ংঃধৎঃং ঃড় বীবৎঃ রঃং ৎবমরড়হধষ ঢ়ড়বিৎ্থ শীর্ষক শিরোনামে নিবন্ধের বস্তুনিষ্ঠ বিশ্লেষণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি লিখেছেন, ‘উযধশধ রং সড়ৎব পড়হভরফবহঃ রহ রঃং ৎড়ষব ধহফ ঃযব ৎবংঃ ড়ভ ঃযব ড়িৎষফ ড়িঁষফ নবহবভরঃ ভৎড়স ঢ়ধুরহম পষড়ংব ধঃঃবহঃরড়হ.্থ তিনি আরও বলেছেন, ‘ঞযব ৎবপবহঃ ধহহড়ঁহপবসবহঃ ঃযধঃ ইধহমষধফবংয ড়িঁষফ ঢ়ৎড়ারফব টঝ৳ ২০০ সরষষরড়হ ঃড় ঝৎর খধহশধ রং ধহ রহঢ়ড়ৎঃধহঃ ঃঁৎহরহম ঢ়ড়রহঃ ধং ঃযব পড়ঁহঃৎু সড়াবং ভৎড়স নবরহম ধহ রসঢ়ড়াবৎরংযবফ ংঁঢ়ঢ়ষরপধহঃ ঃড়ধিৎফং ধহ রহপৎবধংরহমষু রহভষঁবহঃরধষ ংঃধঃব. ঔঁংঃ ধং রসঢ়ড়ৎঃধহঃষু, ইধহমষধফবংয ংপড়ৎবং বিষষ ধমধরহংঃ ওহফরধ ধহফ ড়ঃযবৎ ঝড়ঁঃয অংরধহ পড়ঁহঃৎরবং রহ সধহু ংড়পরধষ রহফরপধঃড়ৎং রহপষঁফরহম যবধষঃয, ষরভব বীঢ়বপঃধহপু, নরৎঃয ৎধঃবং ধহফ বসঢ়ষড়ুসবহঃ ড়ভ ড়িসবহ.্থ
আমাদের সকলের জানা যে, মহান স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ বিনির্মাণের প্রাক্কালে পরাজিত অন্ধকারের শক্তির বর্বর পৃষ্ঠপোষক দেশ-সরকার ও কথিত উন্নয়ন সংস্থার বিরূপ প্রচারণা ছিল স্বাধীন বাংলাদেশ কার্যকর কোন জাতিরাষ্ট্রে পরিণত হতে পারবে না। এমনকি কট্টর বাংলাদেশ বিরোধী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে একটি আন্তর্জাতিক ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ হিসেবে আখ্যায়িত করতে দ্বিধাবোধ করেনি। মহান স্রষ্টার অপার কৃপায় দেশবাসীর অকৃত্রিম সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতিতে এগিয়ে যাওয়ার সাফল্য আজ বিশ্ব সমাদৃত। এইক্ষেত্রে অবিচল আস্থা ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে দেশের আপামর জনগণ ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী বন্ধুদের শতভাগ সমর্থন স্মরণযোগ্য। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়শীল বিশ্বে পদার্পণ বৈশ্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ব্যবস্থায় বাংলাদেশ অনুকরণীয় মডেলের নতুন সংস্করণ হিসেবে বিবেচিত। বর্তমান বাংলাদেশের প্রবাসী শ্রমযোদ্ধা ও গার্মেন্ট শিল্পসহ অন্যান্য রপ্তানি খাত থেকে উপার্জিত বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ প্রায় ৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে যা ২০১০ সালে ছিল ৯০০ কোটি ডলার। একই সময়ে রেমিটেন্স এর পরিমাণ বেড়েছে ২০ হাজার কোটি ডলার। বর্তমান বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২২২৭ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। সামগ্রিক মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান খুবই আশাব্যঞ্জক।
ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ প্রায় বিশিষ্টজনদের উচ্চারণে বাংলাদেশ ‘উদীয়মান ব্যাঘ্র’ থেকে যথার্থ অর্থে প্রকৃত ব্যাঘ্রের ক্যানভাসে রূপান্তরিত হয়েছে। বিশিষ্ট গবেষকবৃন্দের প্রকাশিত নিবন্ধ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাংকের পাকিস্তান কর্মসূচির সাবেক উপদেষ্টা আবিদ হাসান পাকিস্তানের শীর্ষ এক জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত মতামত কলামে লিখেছেন, ‘পাকিস্তানের বর্তমান সরকারসহ প্রত্যেক সরকারই বিশ্বজুড়ে ভিক্ষার বাটি নিয়ে ঘুরছে। ২০ বছর আগে এমনটাই ভাবাই যেত না যে, ২০২০ বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় পাকিস্তানের প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাবে। অতীতের মতো একই গতিতে বাড়তে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি অর্থনৈতিক পাওয়ারহাউজে পরিণত হতে পারে। পাকিস্তান যদি বর্তমানের মতো মন্দা গতি বজায় রাখে তাহলে এমনটা ঘটা সম্ভব যে, ২০৩০ সালে বাংলাদেশ থেকেই উল্টো আমাদের সাহায্য চাইতে হবে।’ রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস ফর ডেভেলপিং কান্ট্রিস (আরআইএস) এর অধ্যাপক প্রবীর দে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পেছনে সবচেয়ে বড় কারণগুলোর একটি হচ্ছে যে, দেশটি অব্যাহতভাবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের জেনারালাইজড স্কিম অব প্রিফারেন্স (জিএসপি) ব্যবস্থা ও অন্যান্য বাণিজ্যিক সুবিধা পেয়ে আসছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অব্যাহত জিএসপি সুবিধার কারণেই ঢাকা কৌশলগত রপ্তানি থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রাজস্ব আয় করতে পেরেছে। তিনি আরও বলেন, ‘এশিয়ার নতুন রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার এখন বাংলাদেশ তারা সবক্ষেত্রে এক ভাষায় কথা বলে এবং তাদের সুসংগঠিত প্রশাসন রয়েছে। বাংলাদেশ এখন প্রধান আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গেও বাণিজ্য করছে। পাশাপাশি আরও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন ও সংযোগ প্রকল্পে যোগ দেয়ার কথাও ভাবছে।’
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও বাংলাপিডিয়া থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত অনুসারে বৈদেশিক সহায়তা-ঋণ-অনুদান-খাদ্য সাহায্যের বিভাজন অনমনীয় (ঐধৎফ খড়ধহ)-নমনীয় (ঝড়ভঃ খড়ধহ)-সরবরাহকারী ঋণ হিসেবে চিহ্নিত। ঋণ বা অনুদানের শর্ত-সুদ-পরিশোধ প্রক্রিয়ায় নির্ভর এসব বৈদেশিক সহায়তা গ্রহণ ও বিতরণে ব্যাপক সতর্কতা অবলম্বন আবশ্যক। আন্তর্জাতিক মূলধনের প্রবাহ উল্লেখিত বৈশ্বিক উন্নত-অনুন্নত মানদণ্ডে নানামুখী সহায়তা অনগ্রসর দেশগুলোর অনুন্নয়নের উন্নয়নকে দীর্ঘায়িত ও জটিল করছে কিনা তা নিয়ে বিপুল বিতর্ক রয়েছে। বিশ্বায়নের এই যুগে লুম্পেন পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় উপকার-অপকারের বিষয়সমূহ ভেবে দেখার গুরুত্ব অত্যধিক। যদিও এই ধরনের সহায়তার ইতিহাস অধিকতর প্রাচীন নয়; তবুও এর প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা উন্নয়ন ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় প্রণীত করে। ১৮৭০-১৯১৩ বছরগুলোতে আন্তর্জাতিক তহবিলের ব্যাপক অংশ হিসেবে কেবল উন্নত দেশগুলিতে বেসরকারি মুদ্রা প্রবাহ নিয়ে গঠিত ছিল। সাহায্য কার্যক্রম নামে যে শিল্পটি এখন পরিচালিত তা হচ্ছে বিশ্বব্যাংক এবং ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তৃতীয় বিশ্বে বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য রেয়াতি শর্তে বিশ্বব্যাংকের প্রথম ঋণ দেওয়া হয়েছিল ১৯৪৮ ও ১৯৪৯ সালে ল্যাটিন আমেরিকান তিনটি দেশে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অমূল্য কবিতার পংক্তি ‘অসত্যের কাছে কভু নত নাহি হবে শির, ভয়ে কাঁপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর’ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা জাতির পিতার অসাধারণ বার্তাগুলোকে দেশ পরিচালনায় পরিপূর্ণ অনুসরণ করছেন বলে প্রতীয়মান হয়। বঙ্গবন্ধুর ভাষায় ‘স্বাধীনতা সংগ্রামের চাইতেও দেশ গড়া বেশি কঠিন। দেশ গড়ার সংগ্রামে আরো বেশি আত্মত্যাগ, আরও বেশি ধৈর্য, আরও বেশি পরিশ্রম দরকার।’ বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে দেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা সৃষ্টিতে দায়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠিন সংগ্রামে জনগণকে অবতীর্ণ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন বিভিন্ন পর্যায়ে। কেন যে মানুষ অমানুষ হয়ে যায়, এতো রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশের অনেকের কেন চরিত্রের পরিবর্তন হয় না এবং ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, চোরাকারবারী আর মুনাফাখোর কীভাবে বাংলাদেশের দুঃখি মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে তার বিশদ বক্তব্য সর্বত্রই জোরালো কন্ঠে উপস্থাপন করেছেন। কীভাবে গুটিকয়েক চেরাকারবারী, মুনাফাখোর ও ঘুষখোর দেশের সম্পদ বাইরে পাচার করে, জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেয়, খাবার জিনিস গুদামে মজুদ করে মানুষকে না খাইয়ে মারে- এ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি এসব অপশক্তিকে উৎখাত করার আহবান জানান।
বঙ্গবন্ধু উচ্চারিত চোরের শক্তি বেশি না ঈমানদারের শক্তি বেশি, অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করে তাঁর মত জনগণকেও উজ্জীবিত হওয়ার উদাত্ত আহবান জানিয়ে বলেন, ‘৩০ লক্ষ লোকের জীবন দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করতে পারি, তাহলে দুর্নীতি, ঘুষখোরি, মুনাফাখোরি আর চোরাচালানও নিশ্চয়ই নির্মূল করতে পারবো। আমি প্রতিজ্ঞা করেছি, তোমরাও প্রতিজ্ঞা করো। বাংলাদেশের জনগণ প্রতিজ্ঞা করুক। আমার আর সহ্য করবার শক্তি নেই’ (ভাষণ ১১/০১/১৯৭৫, কুমিল্লা)। এসব কালজয়ী মহামূল্যবান আদর্শিক চেতনায় পরিশুদ্ধ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করোনার দু:সময়েও নিগূঢ় ব্রত নিয়ে দু:সাহসিক পদযাত্রায় এগিয়ে রয়েছেন। বর্ণচোরা-অনুপ্রবেশকারী- প্রতারক-কদাচার- মিথ্যাচারে নিমজ্জিত ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে তাঁর কঠোর অবস্থান অবশ্যই অপরাজিত থাকবে। দেশীয় সক্ষমতাকে সার্বিক মূল্যায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অচিরেই বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় বিরাজিত আঞ্চলিক উদ্বাস্তু-নদীশাসন-জঙ্গিবাদ-মৌলবাদ, মাদক-অস্ত্র চোরাচালান, নারী-অর্থপাচারসহ সকল দুর্বৃত্তায়ন রুখে দিয়ে অপূর্ব গ্রহণযোগ্য ভূমিকায় অত্যুজ্জ্বল হবে- এই প্রত্যাশাই পোষণ করি।
লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়