উচ্চ আদালতের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন হামলা, ককটেল বিস্ফোরণসহ নানা অভিযোগের ৪০ আসামি। কিন্তু দাখিলীয় কাগজে অসংগতি চোখে পড়ে রাষ্ট্রপক্ষের। বিষয়টি আদালতের নজরে দিলে বিচারকও তা পরীক্ষা করেন। একপর্যায়ে অসংগতির বিষয়টি সত্য প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীকে (কাজী মফিজুর রহমান) সতর্ক করে দিয়ে আদালত বলেন, পরবর্তীতে এমনটা দেখা গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ সময় জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এজলাস কক্ষে উপস্থিত ছিলেন। তার উদ্দেশে আদালত বলেন, আগামীতে সার্টিফাইড কপি ব্যতীত কোনো দরখাস্ত গ্রহণ করা হবে না। এ বিষয়ে সমিতিকে চিঠি দেওয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ ড. আজিজ আহমদ ভূঁঞার আদালত এ নির্দেশনা দেন। এ বিষয়ে জেলা পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী আজাদীকে বলেন, হাটহাজারী ও বাঁশখালী থানার চারটি মামলায় উচ্চ আদালত থেকে ছয় মাসের জামিন নেন প্রায় ৪০ জন আসামি। এর মেয়াদ শেষ হলে নিম্ন আদালতে তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ৭টি মিস মামলার মাধ্যমে আসামিরা আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। দাখিল করেন উচ্চ আদালতের আদেশসহ কাগজপত্রও। যেগুলোতে অসংখ্য অসংগতি চোখে পড়ে আমাদের। আমরা তা আদালতের নজরে দিই। একপর্যায়ে আদালত সেগুলো যাচাই–বাছাই করলে অসংগতি সত্য প্রমাণিত হয়।
পিপি বলেন, এরপর আদালত সংশ্লিষ্ট আইনজীবীকে সতর্ক করেন এবং আগামী ধার্য তারিখে অসংগতিপূর্ণ কাগজপত্র সংশোধন আকারে দিতে বলেন। পরবর্তীতে এমন ঘটনা ঘটলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়ে দেয়া হয়েছে। জেলা পিপি বলেন, অসংগতিপূর্ণ কাগজপত্র আদালতে দাখিল করা ঠিক হয়নি। সংশ্লিষ্ট আইনজীবী দায়িত্বে অবহেলা করেছেন। এক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক থাকা উচিৎ।
আদালত সূত্র জানায়, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর, ২ নভেম্বর, ১০ নভেম্বর ও গত ৬ জানুয়ারি হামলা, ককটেল বিস্ফোরণসহ নানা অভিযোগে বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হাটহাজারী ও বাঁশখালী থানায় এসব মামলা দায়ের হয়।