‘অ তালই, দশ হাইত্যা বাঁশর নয় হাত আঁরে দঅ। কিন্তু অ্যাক হাত অইলে আওয়ামী লীগেরে দঅ। তুঁই পাঁচ বছর চেয়ারম্যান আছিলা, আওয়ামী লীগেরলই আঁতাত গরি চেয়ারম্যানি গইরজ্য। তোঁয়ারার শক্র অইলু আওয়ামী লীগ। এলাকার কি উন্নয়ন গরইজ্য জনগণ জানে।’
বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী আলোচিত বিএনপি নেতা লেয়াকত আলীর আনারস মার্কার সমর্থনে এক পথসভা গতকাল বিকালে ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের হামিদা আলীর টেক এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গন্ডামারার সাবেক চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা ও বর্তমান ঘোড়া মার্কা চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা আরিফ উল্লাহকে উদ্দেশ্য করে তিনি এসব কথা বলেন।
নৌকার প্রার্থী শিহাব উল হক সিকদারের উদ্দেশে তিনি বলেন, নৌকার প্রার্থী আমার ছোট ভাই। ছোট ভাই বড় ভাইকে গালি দেয়। তা মেনে নিতে হয়, যে নৌকা নিয়েছে, চালাতে না পারলে যেকোনো সময় উল্টে যাবে।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন প্রথম দিন তফশিলে বাদ দেয়। দুদিন পর গন্ডামারাকে অন্তর্ভুক্ত করে তফশিল ঘোষণা করে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড প্রথমে জাহেদুল হক মার্শালকে মনোনয়ন দেয়। একদিন পর তাকে বাদ দিয়ে শিহাব উল হক সিকদারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। জামায়াত নেতা মাওলানা আরিফ উল্লাহ যাচাই বাছাইকালে বাদ পড়েন। পরে হাই কোর্ট থেকে রায় এনে ১০ দিন পর ঘোড়া প্রতীক পেয়ে বর্তমানে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
গন্ডামারায় চেয়ারম্যান পদে মোট প্রার্থী ৭ জন। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে আছেন মোহাম্মদ দিদার হোছাইন (চশমা), সেলিম উল্লাহ (অটোরিকশা), জেসমিন আক্তার (টেলিফোন), মো. আজিজুল হক (মোটরসাইকেল)। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ এপ্রিল নির্বাচনে এখানে ৮১৯৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন লেয়াকত আলী।