দশ মাসে ৭৫০০ গ্রেপ্তার : র‌্যাব

| রবিবার , ১৩ জুলাই, ২০২৫ at ৮:৩২ পূর্বাহ্ণ

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর প্রায় ১০ মাসে বিভিন্ন মামলায় সাড়ে সাত হাজার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার এবং পাঁচ শতাধিক অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য দিয়েছে র‌্যাব। গতকাল শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের বিশেষ এ ইউনিটের মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান এ তথ্য দিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত কয়েকটি ঘটনার পর তাদের তৎপরতা এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তারের বর্ণনা দেন। খবর বিডিনিউজের।

র‌্যাব বিলুপ্ত বা পোশাক পরিবর্তনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ নিয়ে চিন্তা করার সময় নেই। কীভাবে সাধারণ মানুষকে স্বস্তিতে রাখা যায়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কীভাবে ভাল থাকে এ নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে মাথা থেঁতলে হত্যার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং দুইজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এছাড়া চট্টগ্রামে স্ত্রীকে হত্যা করে ১১ খণ্ড করার অভিযোগে স্বামী সুমনকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকাকাঠমন্ডু ফ্লাইটে বোমা থাকার উড়ো খবর দিয়ে যাত্রা স্থগিত করার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়ে র‌্যাবপ্রধান বলেন, প্রেমিকা নিয়ে বিবাহিত ছেলের যাত্রা ঠেকাতে ছেলের মা এই কৌশল নিয়েছিলেন। মব সন্ত্রাসের বিষয়ে র‌্যাবের কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরে শহিদুর বলেন, আমরা লালমনিরহাটে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিনজন, কুমিল্লায় মুরাদনগরে এক নারীর শ্লীলতাহানি এবং নির্যাতনের ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করি।

ছাত্রজনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে এ বছর ৩০ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন মামলায় আসামি গ্রেপ্তার এবং অস্ত্র উদ্ধারের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। অস্ত্র ও গোলাবারুদ মামলায় ১৭২ জনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি পাঁচ শতাধিক অস্ত্র এবং ১০ হাজারেরও অধিক গোলাবারুদ উদ্ধার করার তথ্য দেন তিনি।

নিয়মিত ও বিশেষ অভিযানে ২৭ জন জল ও বনদস্যুকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি মানবপাচার মামলায় ৪২ জনকে উদ্ধার এবং ৭৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে তুলে ধরেন তিনি। অপহরণ মামলায় পাঁচ শতাধিক আসামিকে গ্রেপ্তার এবং অপহরণের শিকার প্রায় ৭৫০ জনকে উদ্ধারের তথ্য দিয়ে র‌্যাবপ্রধান বলেন, র‌্যাবের পোশাক ব্যবহার এবং ভুয়া র‌্যাব পরিচয় দিয়ে অবৈধ কার্যকলাপের দায়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ছিনতাইকারীদের দমনে রাজধানীসহ সারাদেশ থেকে প্রায় পাঁচশত ছিনতাইকারী, হত্যা ও ধর্ষণ মামলায় ২ হাজার ২০০ জন, চাঁদাবাজির ঘটনায় ৭২ জন, প্রতারণা মামলায় ৪৪ জন, কিশোর গ্যাংয়ের বিভিন্ন গ্রুপের ১১ জন, ডাকাতি মামলায় প্রায় চারশত এবং মাদক মামলায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এ সময়ে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধক্ষমতার ভাগবাটোয়ারা ছাড়া দেশ সংস্কারে তাদের সমর্থন পাওয়া যায় না : নাহিদ
পরবর্তী নিবন্ধঢাকায় ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে নগরে বিক্ষোভ